চট্টগ্রাম

বাঁশখালীতে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১৪ অক্টোবর ২০২৪ , ৪:৫৫:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

বাঁশখালীতে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পড়া হাজিরা দিতে না পারায় মো. আশরাফুল ইসলাম (১২) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মো. আলম প্রকাশ হাফেজি হুজুর ঘটনার পরদিন থেকেই পালাতক রয়েছেন বলে জানা যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা গ্রামের গণি চৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন দারুস সুন্নাহ্ রহমানীয়া মাদরাসায়। শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন রবিবার বিকেলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সহকর্মী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানতে পারে বলে জানান শিশুর পিতা মো. শফিউল আলম মানিক।

এ বিষয়ে আহত শিশুর পিতা মো. শফিউল আলম মানিক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে মো. আশরাফুল ইসলাম ওই মাদরাসার হাফেজ বিভাগের শিক্ষার্থী। আঠারো পারা হেফজ সম্পন্ন করেছে। ঘটনার দিন সকালে ছবক (পড়া হাজিরা) দিতে না পারায় হুজুর মারধর করে। দুপুরে নাস্তার বিরতির সময় ওই হুজুর গ্যাসের চুলায় পানি বসিয়ে গরম করে। পরে শীরের পাঞ্জাবী ও গেঞ্জি খুলে গরম পানি ঢেলে দেয়। এতে আমার ছেলের শরীর ঝলসে যায়। বিনা চিকিৎসায় মাদরাসায় আটকে রাখা হয় তাকে। পরে স্থানীয় লোকজন আমার ছেলেকে উদ্ধার করে গুনাগরিস্থ আয়েশা সিদ্দিকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মাদরাসার সুপার আমিনুর রশিদকে ফোন দিলে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়ার সাথে সাথে ফোন কেটে দেন। পরবর্তী বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. ইউসুফের সাথে মুটোফোনে কথা বললে তিনি জানান ‘ঘটনার বিষয়ে আমি জেনেছি। এভাবে মরধর করা হুজুরের উচিত হয়নি। হুজুরের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, হুজুর পালিয়ে যায়নি। এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নিবে। প্রয়োজনে আহত শিশুর পিতাকে ডাকা হবে। ওই হুজুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।’

আরও খবর

Sponsered content