প্রতিনিধি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৩:৩৯:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীর বাউফলের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ব্যবসায়ী শিবু বণিককে (৭৮) অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনায় প্রধান আসামিসহ তিনজন পুলিশের খাঁচায় বন্দি। এ সময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার গেন্ডারিয়া, গাজীপুরের জয়দেবপুর ও বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাজেদুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী বাউফল উপজেলার বড়ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম সরদারের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান (২২), উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বশার ব্যাপারীর ছেলে মো. কাওছার হোসেন (২৩) ও চন্দ্রদীপ ইউনিয়নের মতলেব হাওলাদারের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন (২৫)।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, এ নিয়ে প্রধান পরিকল্পনাকারীসহ ডাকাত দলের ০৯ জনের ০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুব শিগগির বাকি একজনকে গ্রেপ্তার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে বাউফলের কালাইয়া বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিবানন্দ রায় শিবু বণিক অরফে শিবু বণিক দুর্বৃত্তদের হাতে অপহৃত হওয়ার ৫২ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়। নাজিরপুর ইউনিয়নের ডালিমা গ্রামের কচুয়া এলাকার একটি মসজিদের পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই সময় অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি দেশি অস্ত্র, সাতটি মুঠোফোন, দুই জোড়া জুতা, অপহরণে ব্যবহৃত ‘মানকি’ টুপি ও লুটের দেড় লাখ টাকা জব্দ করা হয়। তারা সবাই জেলা কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন- ভোলার দক্ষিণ আইচার চর পাচুকিয়া গ্রামের এক কিশোর ও ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিগোনা গ্রামের মাসুদ শরীফ (২৪), বাউফলের বড় ডালিমা গ্রামের মো. মিরাজ মৃধা (২০), মো. জহির প্যাদা (২৭), বিধান চন্দ্র মিস্ত্রি (২২)।