প্রতিনিধি ১১ মার্চ ২০২৫ , ৩:৫৩:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়’ ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ধর্ষকের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি মানি না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে বাগেরহাট।
সোমবার (১০ মার্চ) রাত ৭ টায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে বাগেরহাট দশানী আলিফ চত্বর থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে খুলনা বাগেরহাট সড়কে সোনাতলা মসজিদ এর সামনে প্রদক্ষিণ করে আবার দশানী আলিফ চত্বরে এসে শেষ হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র নেতা এসএম সাদ্দাম,আজরুবা আরাবি নওরিন,আব্দুলাহ আল সিনান,আব্দুলাহ আল রুমান,শেখ বাদশা,মীর সাব্বির।
বাগেরহাট আইন কলেজের শিক্ষার্থী ছাত্র নেতাএস এম সাদ্দাম বলেন, গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমাদের দাবি, এই ধর্ষণের বিরুদ্ধে দ্রুত অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। যদি ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত না করতে পারেন তবে আপনারা পদত্যাগ করুন। আমরা ধর্ষণ মুক্ত সোনার বাংলাদেশ চাই।দেশে বিদ্যমান অরাজকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নিতে হবে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সরকারি পিসি কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতা শেখ বাদশা তার বক্তব্যে বলেন,আমাদের মা বোনেরা ঘরে বাইরে কোন জায়গায় নিরাপদ নই।একদল কুচক্রী মহল এধরণের কাজ করে দেশকে অস্থির করার পায়তারা চালাচ্ছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। প্রশাসন কেনো কঠোর পদক্ষেপে আসছে না। তারাকি এখনও চুপ্পুর গোলাম হয়ে বসে আছে। সেনাবাহিনীকে মাজিস্ট্রেট পাওয়ার দেওয়ার পরও তারা কাজ করছে না। অপরাধীদের ধরা ছোয়ার বাইরে রেখেছে। সব কিছু নিয়ম মেনে হয়না যদি আপনারা তাদের বিচারের আওতায় আনতে না পারেন তবে আবার বাংলাদেশে অভ্যুত্থান হবে। আমরা আমাদের বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের মা বোন বের হবে নিরাপদে। সাধারণ মানুষও নিরাপদে থাকতে চাই। যদি কেউ ধর্ষকদের পক্ষে কথা বলে তাহলে মনে রাখবেন তারাও সমান অপরাধী।
ছাত্র নেতা আব্দুলাহ আল সিনান বলেন, জোর দাবি জানাচ্ছি ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ষকদের বিচার ওপেনে করতে হবে।ধর্ষকদের বিচার মাত্র দশ দিনের কার্যকর করতে হবে। ধর্ষকদের নথি থাকারপরও কেনো তাদের ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে না।