খুলনা

বাতি জ্বলে না শেখ রাসেল সেতুতে!

  প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৮:১৩:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

আরিফুল ইসলাম আরিফ, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া শহর ও সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের সংযোগ শেখ রাসেল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট ঠিকই আছে, তবে বাতি জ¦লে না। সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো সেতুটি। বাতি গুলো দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকায় রাতে সেতুতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটছে। সেতু অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন মাদকসেবীরা। তারা এই সেতুর উপরে ও নিচে বসে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। হাটশ হরিপুর ইউনিয়নবাসীর জন্য গড়াই নদীর উপর নির্মিত এই সেতুটি জনগুরুত্বপূর্ণ। ইউনিয়ন এলাকার প্রায় ৭০ হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য এই সেতুটি ব্যবহার করে থাকে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ ৫০০মিটার দৈর্ঘ্যের শেখ রাসেল সেতু ৯৬ কোটি ৮৯লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি)। সেতুটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। সেতু উদ্বোধনের কয়েক দিনের পর থেকে একটি-দুটি করে বাতি নষ্ট হতে থাকে। রক্ষণা বেক্ষণের অভাবে সেতুর প্রায় সব বাতি এখন নষ্ট। স্থানীয়রা জানান, শেখ রাসেল সেতুর বাতি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা নামলে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সেতু এলাকা বাতি না জ্বলায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারীরা প্রায়ই ছিনতাইয়ের শিকার হয়। এছাড়া সেতুতে বাতি না থাকায় মাঝে মধ্যে যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর বাতি না জ্বললেও এতে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন এলাকার অনিক বলেন, সন্ধ্যার পর এই সেতুগুলো মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়। এই মাদকসেবীরাই অনেক সময় পথচারীদের টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাও রয়েছে এখানে।
হাটশ-হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ বলেন, বার বার জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। সেতুতে অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় প্রায় ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। দ্রæত বিষয়টি সমাধানের দাবি জানাচ্ছি। এলজিইডির কুষ্টিয়া জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘সেতুটির বাতির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। আমি যোগদান করার পরই তা পরিশোধ করেছি। নষ্ট বাতি মেরামত করে শিগগিরই বাতিগুলো আবার জ্বলতে শুরু করবে। এব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by