ময়মনসিংহ

বাবা-মায়ের দোয়া নেওয়া হলো না এইচএসসি পরীক্ষার্থীর

  প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২৪ , ৫:১১:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বাবা-মায়ের দোয়া নেওয়া হলো না এইচএসসি পরীক্ষার্থীর

জামালপুরে কারিমুল ইসলাম (১৮) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী বাবা-মায়ের কাছে দোয়া নিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে জামালপুর শহরের মির্জা আজম চত্বরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় তিনি আহত হন। পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে নিহতের পরিবারের লোকজন মৃত্যুর বিষয়টি শনিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারেন।

নিহত কারিমুল ইসলামের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গুঠাইল এলাকায়। তিনি ওই এলাকার ব্যবসায়ী সামিউল হকের ছেলে। সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, কারিমুল ইসলাম জামালপুর শহরের পশ্চিম নয়াপাড়ার একটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জামালপুর শহর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ইসলামপুরের নিজ বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে দোয়া নেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। অটোরিকশাটি শহরের মির্জা আজম চত্বরের পাশে পৌঁছালে ট্রাকের ধাক্কায় আহত হয় কারিমুল। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিচয় না পাওয়া গেলে তার ছবি তুলে পরিচয় পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম তার আইডি থেকে পোস্ট করেন। পরে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের পরিবার বিষয়টি জানতে পারেন।

নিহত কারিমুল ইসলামের বন্ধুরা বলেন, আগামীকাল রোববার থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। নয়াপাড়া মেসে থেকে বাড়িতে বাবা-মায়ের কাছে দোয়া নিতে যাচ্ছিল কারিমুল। শহরের মির্জা আজম চত্বর থেকে একটু সামানে পৌঁছালে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা কারিমুল আহত হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি কেউ জানতে পারিনি। এটি সবচেয়ে আমাদের বড় কষ্টের বিষয়। আজ সকালে আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম ইফতেখার বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তার পরিচয় পাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিহতের ছবিসহ পোস্ট করা হয়। তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী।

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ছেলেটি মেসে থেকে পড়াশোনা করতো। ছেলেটি খুবই মেধাবী ছিল। গতকাল মেস থেকে বাড়িতে দোয়া নিতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার বিষয়টি আজ সকালে জানতে পেরেই হাসপাতালে এসেছি।

আরও খবর

Sponsered content