প্রতিনিধি ২৭ মার্চ ২০২৩ , ৮:৩৬:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতাসহ বিভিন্ন কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়ছে। আর এই ভর্তুকি জনগণের ওপর চাপানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
আজ সোমবার সিপিডির ধানমন্ডি কার্যালয়ে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪: সিপিডির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংলাপে এ অভিযোগ করেন সংগঠনটির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি তৈরি হয়েছে এবং এই ক্যাপাসিটির জন্য বাড়তি ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। আর এটা ভোক্তার ওপর চাপানো হচ্ছে। এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সুপারিশ- আগামীতে নতুন প্রকল্প নেওয়া ও পুরাতন প্রকল্প নবায়নের ক্ষেত্রে ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পে’ ধরনের একটি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তাহলে ভর্তুকির দায় থেকে বিদ্যুৎ খাত বের হয়ে আসতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের হিসাবে বলছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) লাভের ভেতরে রয়েছে। কিন্তু সেই সুযোগ আমরা ভোক্তাকে দিতে পারছি না। সেই জায়গা থেকে বাজারভিত্তিক মূল্য কাঠামোতে যাওয়া এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে যে অদক্ষতা, বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, দুর্নীতির সংশ্লেষের কথা বলা হচ্ছে—এগুলোর বিরুদ্ধে আগামীতে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এটা না করে ভোক্তার ওপর বাড়তি খরচের দায় চাপিয়ে দেওয়া অবস্থা থেকে সরে আসার প্রয়োজন আছে।’
সিপিডির এই গবেষক বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এক বছরের ব্যবধানে ২৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। এতে শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রার কষ্ট বেড়েছে।
মূল প্রবন্ধে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংকের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ব্যাংক কমিশন গঠনের প্রয়োজন। সেই কমিশন ব্যাংকের ভেতরে কী হচ্ছে, তথ্য বের করে এনে সমস্যা নিরূপণের উদ্যোগ নেবে।