রংপুর

ভাঙন আতঙ্কে ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মানুষ

  প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২১ , ৬:০৮:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

চলতি বছরের জুনে কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও দুই বছরে মাত্র দুইশ’ মিটার এলাকায় কাজ হয়েছে। আসন্ন বর্ষায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত গণকবর ও এলাকার আবাদি জমি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গাইবান্ধার ফুলছড়িবাসী। 

সোমবার (৩১ মে) দুপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে এক মানববন্ধনে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন, গাইবান্ধার ফুলছড়ির গণকবর হতে বরমতাইড় মসজিদ পর্যন্ত ৭শ’ মিটার নদী ভাঙন প্রতিরোধ কাজে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়ম-দুনীতি চলছে। গেল দুই বছরে কাজ হয়েছে মাত্র দুইশ মিটার। সেখানেও করা হয় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি।

তাদের অভিযোগ, সিডিউল মোতাবেক আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। যথা সময়ে কাজ করতে না পারায় এই বর্ষায় যমুনা-ব্রহ্মপুত্রে পানি বাড়লে গণকবর, সরকারি কলেজ, সিনিয়র আলীম মাদরাসা, হাফেজিয়া মাদরাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাড়িঘর ভাঙনের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম-দুর্নীতি লুটপাটের তদন্ত ও দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ফুলছড়ির আপামর জনগণের।

সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টিসহ বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও শতশত মানুষ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নদী তীরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রকল্প কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্ত দাবি করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিডিউল অনুযায়ী বেডে ৪ ইঞ্চি খোয়ার স্থলে ১ থেকে দেড় ইঞ্চি খোয়া দেওয়া হয়েছে। বেডে কিছু কিছু জায়গায় খোয়াই দেওয়া হয়নি। বেডে নতুন করে বালু ফিলিং করার কথা থাকলেও সাইটে রক্ষিত পুরাতন জিও ব্যাগ কেটে সেই বালু দিয়ে ফিলিং করা হচ্ছে। নতুন জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। বেডে রোলার ভাইব্রেশন মেশিন দিয়ে কনফেশন করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। নদী ভাঙন প্রতিরোধের নামে সরকারের কোটি কোটি টাকা নয়-ছয় করা হচ্ছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ফুলছড়িবাসীর পক্ষে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মকবুল হোসেন প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by