আইন-আদালত

ভারতসহ অন্যান্য দেশে স্থায়ীভাবে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে রিট

  প্রতিনিধি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৭:৫০:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিশ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দায়ের করা হয়।

রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে ভারতে কম দামে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সাথে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনকে ইলিশ মাছ কেন্দ্রীক পর্যটনের বিকাশে কাজ করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে (রিট মামলা নং ১১৪১২/২০২২) বলা হয়েছে, ইলিশ মাছ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বেও অত্যাধিক দামের কারণে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই ইলিশ মাছ কেনার কথা চিন্তাও করতে পারে না। অন্যদিকে দেশের মধ্যবিত্ত জনগণও এই ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের দরিদ্র কৃষকেরা দুই মণ ধান বিক্রি করেও এক কেজি ইলিশ মাছ কিনতে পারছেন না। ইলিশ মাছের দাম ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে।

অপরদিকে বাংলাদেশের এই ইলিশ মাছ ভারতে মাত্র ১০ ডলার (প্রায় ৯৫০ টাকা) কেজি দরে রফতানি হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বাজার মূল্যের চেয়ে প্রায় অর্ধেক দামে ভারতে ইলিশ মাছ রফতানি করা হচ্ছে।

উক্ত রিট মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জনসাধারণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। অপরদিকে জনগণের স্বার্থে সর্বদা নিয়োজিত থাকা বিবাদীদের সাংবিধানিক দায়িত্ব।

এতে আরো বলা হয়েছে, দেশের বাজারের চেয়ে কম মূল্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করার মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তারা দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ধ্বংস করেছেন এবং জনগণের স্বার্থ বিরোধী কাজ করেছেন। এ ছাড়া রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানি যোগ্য পণ্য নয়।

রিট আবেদনের ওপর শিগগিরই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।

আরও খবর

Sponsered content