রাজশাহী

ভোগান্তির আরেক নাম বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক

  প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২২ , ৭:১৭:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

এস এম আল আমিন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

সড়ক পথে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত কারীদের কাছে এখন ভোগান্তীর অপর নাম নলকা মহাসড়ক। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের নলকায় সড়ক সংস্কারের কারনে সরু হয়েছে মহাসড়ক। ফলে দুই লেনের যানবাহন এক লেনে যাতায়াত করায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ফলে ভোগান্তী বেড়েছে যাত্রীদের। আসন্ন রমজানের ঈদের আগে সড়কটি সংস্কার না করা হলে দীর্ঘ যানজট হওয়ার আশংকা করছেন চালক ও যাত্রীরা।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে ঈদের আগেই সড়কটি পুরোপুরি সংস্কার এর পাশাপাশি খুলে দেওয়া হবে নব নির্মিত নলকা সেতু। উত্তরবঙ্গের প্রবেশ দ্বার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, নাটোর, খুলনা, কুষ্টিয়া সহ উত্তর, দক্ষিন ও পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার পরিবহন চলাচল করে। বর্তমানে এই মহাসড়কের হাটিকুমরুল থেকে সেতুর পশ্চিম পাড় পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার এলাকায় চলছে মহাসড়ক প্রসস্তকরন কাজ।

ফলে এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সংস্কার কাজের জন্য সরু হয়েছে মহাসড়ক। বিশেষ করে নলকায় মহাসড়কটি সরু হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চলছে নতুন সেতু নির্মান কাজ। ফলে এই মহাসড়কে দুই লেনের যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে এক লেন দিয়ে। ফলে যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারছেনা। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে মহাযানজট।

 

এই মহাসড়ক অতিক্রম দিতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে চরম ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।

সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. সালেকুজ্জামান সালেক বলেন, উত্তরাঞ্চলের চারটি মহাসড়কের যানবাহন সলঙ্গার হাটিকুমরুলে এসে বঙ্গবন্ধু সংযোগ মহাসড়কে যুক্ত হওয়ায় এ সড়কে যনাবাহনের চাপ অনেক বেশি থাকে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের নলকা সেতুর দুই পাশের মহাসড়কে নতুন রাস্তা নির্মাণ ও একই সঙ্গে পুরাতন মহাসড়কে সংস্কার কাজ চলছে। ফলে মহাসড়কে চলা হাজার হাজার যানবাহনকে এক লেনে চলাচল করতে হচ্ছে।

সালেকুজ্জামান সালেক আরো বলেন, নির্মাণ ও সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিাকাদারের গাড়িগুলোও মহাসড়কে উঠে পড়ায় আরো বেশি প্রতিবন্ধকতা তৈরী হচ্ছে। যে কারণে মহাসড়কে চলা যানবাহনগুলো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। প্রতিদিনইক নলকা সেতুর পূর্বপাড়ের সীমান্তবাজার এবং পশ্চিমপাড়ের পাঁচলিয়া পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। এ পরিস্থিতিতে ধীরগতিতে যানবাহনগুলো চলাচল করলেও কোন গাড়ি থেমে নেই। মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সওজ অফিস সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক করিডরে যুক্ত হবে টাঙ্গাইল-রংপুর মহাসড়ক। এজন্য আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলা হচ্ছে মহাসড়কটি। দুই পাশে ধীরগতির গাড়ির জন্য আলাদা লেনসহ নির্মাণ করা হচ্ছে চার লেনের মহাসড়ক। সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্প-২ এর আওতায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হতে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মহাসড়কটির উন্নয়ন কাজ দেশ-বিদেশের পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করছে।

নলকা সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক শেরশাহ ফরিদ বলেন, এই পথের দূর্ভোগ কমাতে ঈদুল ফিতরের আগেই সড়কটি পুরোপুরি সংস্কার এর পাশাপাশি খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নলকা সেতু খুলে দেওয়া হলে যাত্রেিদর দুভোগ হ্রাস পাবে।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন এই মহাসড়ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, নাটোর, খুলনা, কুষ্টিয়া সহ উত্তর, দক্ষিন ও পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার পরিবহন চলাচল করে।

 

আরও খবর

Sponsered content