আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আগামী ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রেখেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ পড়তে গিয়ে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হন, তাদের মধ্যে ৩১ জন মারা গেছেন। তিতাসের গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদের বদ্ধ পরিবেশে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা।
নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মার-ই-য়াম খন্দকার গত সোমবার জনস্বার্থে রিট আবেদন করলে ৩৭ জনের পরিবারকে জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় পাঁচ লাখ টাকা করে দিতে তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে গত বুধবার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই আদেশের পরপরই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘বিস্ফোরেণের ঘটনার কারণ এখনও নিরূপন হয়নি। বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এখনও দায় নিরূপন করেনি।
“ফলে এ আদেশ দায় নিরূপনের আগেই দায় চাপিয়ে দেওয়ার মত। রাষ্ট্রপক্ষ এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবে।”
সে অনুযায়ী হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।