প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১:৫০:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির বৈঠকে শফী পদত্যাগ করেন বলে জানান হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সালাউদ্দীন নানুপুরী। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আহমদ শফীকে মাদ্রাসা থেকে চট্টগ্রাম শহরের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নানুপুরী বলেন, ‘বয়স্ক ও অসুস্থ হওয়ায় মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্বভার শূরা কমিটির ওপর ন্যস্ত করেন। কমিটি মাদ্রাসা পরিচালনা করবে। প্রয়োজনে তারাই পরিচালক নির্ধারণ করবেন। পরে শুরা কমিটি আহমদ শফীকে সম্মানিত পরিচালক হিসেবে রাখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শফী হুজুরের অনুসারী শিক্ষক মাওলানা নূরুল ইসলাম মাদ্রাসার সব কার্যক্রম থেকে আজীবনের জন্য বরখাস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া হুজুরের ছেলে আনাস মাদানীকেও মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাদের মধ্য দিয়ে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় দৃশ্যত আহমদ শফীর সুদীর্ঘ দিনের কর্তৃত্বের অবসান ঘটল।
এদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে স্বপদে পুনর্বহালের চেষ্টার খবরে বিক্ষোভ করে প্রতিষ্ঠানটির বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১১টার পর মাদ্রাসা মাঠে জমায়েত হয়ে তারা ফের বিক্ষোভ শুরু করে। সকাল থেকে পুরো মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নেন আন্দোলনরতরা। শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার সব গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং আনাসপন্থি কয়েকজন শিক্ষকের কক্ষে ভাঙচুর চালায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধের আদেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে কারণ হিসেবে করোনায় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের শর্ত মানা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে।