বিনোদন

অনুমতি পেলে বৈশাখেই প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি চলচ্চিত্র

  প্রতিনিধি ৫ জানুয়ারি ২০২১ , ১২:৫৬:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

দেশীয় চলচ্চিত্র সংকট নিরসনে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর সঙ্গে একমত চলচ্চিত্র প্রদর্শক, প্রযোজক ও পরিচালক সংগঠন। বলছেন, হল বাঁচাতে এটাই হবে শেষ চেষ্টা। অনুমতি পেলে আসছে বৈশাখেই প্রেক্ষাগৃহে চলবে হিন্দি চলচ্চিত্র।

বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না কিংবা কেয়ামত থেকে কেয়ামত। সম্পূর্ণ ভিন্ন-ধারার সুপার ডুপার হিট ছবি দুটি যখন মুক্তি পায় তখন দেশে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা চৌদ্দশ’র কাছাকাছি। সে সংখ্যা কমে এখন মোটে একষট্টিতে। করোনার সংকট যেখানে চোখ রাঙাচ্ছে তীব্রভাবে।

এ প্রসঙ্গে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান বলেন, সীমিত আকারে ৬ থেকে ১০টি ছবি এক বছরের জন্য আনা হবে। আগে হল বাঁচাতে হবে। তাহলে বাংলা ছবিও বেঁচে থাকবে।

দর্শক যাচ্ছে না, একের পর এক বন্ধ হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ। রাজধানীতেই বন্ধ বেশ কিছু হল। নেই রাজমণি, প্রদর্শন বন্ধ বলাকাতেও। হিন্দি ছবি আমদানিতে হলে ফিরবে দর্শক। সেই সুযোগে প্রাণ পাবে দেশীয় চলচ্চিত্র- বলছেন হল মালিকরা।

মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার নওশাদ বলেন, ভারতের ছবি আনলেই যে উপকার হবে তা না, তবে হলগুলোতে মিনিমাম দর্শক হলেও আসবে। কিছুটা হলেও আয় বাড়বে।

যদিও চলচ্চিত্রকে আলু-পেঁয়াজের সংকটের সাথে তুলনা উচিৎ নয় জানিয়ে চলচ্চিত্র বিশ্লেষক মোরশেদুল ইসলাম বলছেন, পরিস্থিতি উত্তরণে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, চাল-ডাল-আলু আমাদের পেটের ক্ষুধা মেটায়। আর ছবি মনের ক্ষুধা। তাই মনের ক্ষুধা নিয়ে অবশ্যই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা সিনেমা হলকে আধুনিকও করছে না, আবার বলছে মানুষ হলে আসে না। হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

বছরে সর্বোচ্চ ছয় থেকে আটটি ভারতীয় ছবি আমদানির অনুমতি চেয়ে শিগরিরই তথ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করবেন তারা।

Powered by