চট্টগ্রাম

রাউজানে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষ শুন্য গ্রাম

  প্রতিনিধি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫:৫২:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

রাউজানে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষ শুন্য গ্রাম

চট্টগ্রামের রাউজানের মেধাবী কলেজ ছাত্র ও একটি ডিমের খামারের তত্ত্বাবধায়ক শিবলী সাদিক হৃদয়ের খন্ডিত লাশ নিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় জনতা পুলিশের গাড়ি অবরুদ্ধ করে। পুলিশের গাড়ি থেকে জোর করে ছিনিয়ে নেয় হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী আসামিকে উত্তেজিত জনতা হত্যার প্রধান আসামীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেন। এসময় পুলিশের গাড়ি ভাংচুর এবং পাঁচ সদস্যকে আহত করে।

এঘটনায় পুলিশের গাড়ি ভাংচুর, আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা ও পুলিশকে হামলার অভিযোগ এনে ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা রাউজান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হাকিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।

মামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রেপ্তার এড়াতে রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামে এখন পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। অনেকের বাড়িঘরে ঝুলছে তালা। যে দিকে পারছেন সরে যাচ্ছেন। বর্তমানে গ্রামটিতে গ্রেপ্তার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সবার মনে কাজ করছে গ্রেপ্তারের ভয়।

খুন হওয়া শিবলী সাদিক নিহত রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের মুহাম্মদ শফির ছেলে। তার বাবা পেশায় পিকআপ ভ্যানের চালক। শফির দুই ছেলের মধ্যে বড় শিবলী সাদিক হৃদয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চপাড়া গ্রামজুড়ে বিরাজ করছে সুনশান নীরবতা। রাস্তা-সড়কে তেমন পুরুষ নেই। ঘটনার পর থেকে গ্রামের বাসিন্দারা গ্রেপ্তার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বন্ধ রয়েছে আশরাফ শাহ মাজার গেটের পাশে দোকানপাট। আড্ডা নেই পাশের বড় বাজার ঈশানভট্টের হাটেও। সেখানে কিছু দোকান খোলা হলেও নেই আগের মতো লোকজন।

এলাকায় গিয়ে অনেক খোঁজাখুজির পর কিছু নারী ও শিশুর দেখা গেলেও তাদের সবার মনে বিরাজ করছে আতঙ্কের ছাপ। তারা বলছেন, পুলিশ নাকি ধরে ধরে মানুষ নিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাই অনেক ভয়ের মধ্যে আছি। দুশ্চিন্তায় তাদের চোখে ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে। এলাকাজুড়ে এখনো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অনেক মহিলাও গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত সোমবার পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে উত্তেজিত জনতা গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেন। হত্যার ঘটনায় পুলিশ মামলা করেছে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, হৃদয়ের লাশ নিয়ে ফেরার পথে পুলিশের গাড়িতে হামলা, পুলিশের উপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নিয়ে হত্যার ঘটলা মামলা দায়ের হয়। মামলায় আসামির সংখ্যা বা কারও নাম রাখা হয়নি। সবাই অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করবো। তারপরে অভিযান পরিচালনা শুরু করবো। এখানে নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by