প্রতিনিধি ২১ নভেম্বর ২০২১ , ৬:৪০:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী ব্যুরো: মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আরডিএ মার্কেটের সামনে ধস দেখা দিয়েছে। পানির ট্যাংকি নির্মাণ করতে গিয়ে প্রধান ফটকের কাছে সিঁড়ির সামনের রাস্তা খোঁড়ার পর এ ধ্বস দেখা দেয়। আশপাশের ব্যবসায়ীরা এনিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও মার্কেটটির ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন, এনিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তবে দমকল বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরডিএ মার্কেট সবদিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ।
শনিবার রাতে আরডিএ মার্কেটের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে দেখা যায়, মার্কেটটির সিঁড়ির সামনে ১৫ ফিটের মতো একটি গর্ত। পাইলিংয়ের জন্য চারদিকে কাঠ দেওয়া থাকলেও মাটি ধসে সেই কাঠগুলো হেলে পড়েছে। গর্ত ছাড়িয়ে আশপাশের অংশেও ধস বিস্তার লাভ করেছে। ধ্বস নামার পর বালি দিয়ে ওই গর্তের একটা বড় অংশ ভরাট করা হয়েছে।
গর্তের দুই পাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আরডিএ মার্কেটে পানি সংরক্ষণের জন্য তিনটি আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক নির্মাণ করতে প্রায় এক সপ্তাহ থেকে এখানে পাইলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। ওই মার্কেটে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় মার্কেট কর্তৃপক্ষ মার্কেটের সামনে পানির ট্যাংক নির্মাণের কাজ করছে। আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইলিংয়ের কাঠ দেয়ার পরেও বৃহস্পতিবার রাতে সদ্য গর্ত করা ওই স্থানটি ধসে যায়। শুক্রবার সেখানে বালি ফেলা হয়েছে। আশপাশের মার্কেটের চাপে স্থানটি এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। তার ওপর গর্ত করায় পুরো এলাকা নতুন করে ঝুঁকিতে পড়লো। এদিকে গর্ত করতে গিয়ে ধ্বস দেখা দেয়ায় এখন সেখানে তিনটির পরিবর্তে একটি ট্যাংক স্থাপন করা হবে।
আরডিএ কর্তৃক পুনর্বাসিত ব্যবসায়ীদের সংগঠনের দফতর সম্পাদক মাসুদুর রহমান সজন জানান, মার্কেটের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার স্বার্থে সিঁড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড পানির ট্যাংক স্থাপন করা হচ্ছে। গর্ত করার পর সেখানে ধ্বস দেখা দেয়। তবে সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই সেখানে পানির ট্যাংক স্থাপন করা হবে। এতে মার্কেটের কোন ঝুঁকি নেই বলেও জানান ব্যবসায়ীদের এই নেতা।
এদিকে রাজশাহীর দমকল বাহিনীর উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, শুরু থেকেই আরডিএ মার্কেটে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই, সিঁড়িগুলোও হিডেন, উপরে ওঠার ব্যবস্থাও পরিস্কার নয়, আশপাশের রাস্তাগুলোও সরু আবার ওই মার্কেটের দোকানগুলোতে যেসব পণ্য বিক্রি করা হয় তা আগুনের জন্য সংবেদনশীল। সর্বোপরি মার্কেটের পরিবেশ ফায়ার ফাইটিংএর উপযোগী নয়। কন্সট্রাকশন নিয়েও রয়েছে অভিযোগ।
যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের বরংবার অবগত করা হয়েছে। এমন অবস্থায় মার্কেটটি ভেঙে বিল্ডিংকোড অনুসারে নতুন করে নির্মাণ করাই উত্তম। নয়তো ব্যবসায়ী ও ক্রেতাসহ সবার জন্য মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণই রয়ে যাবে। ট্যাংক নির্মাণের জন্য গর্ত খোঁড়ার বিষয়ে দমকল বাহিনীর ওই কর্মকর্তা জানান, মার্কেটের সামনে ট্যাংক নির্মাণ ও ধ্বস নিয়ে তাদেকে জানানো হয়নি