প্রতিনিধি ৬ জানুয়ারি ২০২৫ , ৪:৩৯:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের কাঞ্চনপুর এলাকায় অটোরিকসার ব্যাটারী চুরির অভিযোগে আবুল কালাম (৩৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত আবুল কালাম রায়পুর উপজেলার ৭নং বামনি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কাঞ্চনপুর এলাকার ছানা উল্যাহ পাটওয়ারীর ছেলে। সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শুক্রবার রাতে রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকা থেকে মাসুদ আলমের ব্যাটিরি চালিত অটোরিকসার ব্যাটারী চুরি হয়। রোববার বিকেলে পৌর শহরের ভূঁইয়ার রাস্তায় একটি দোকানে চুরি হওয়া ব্যাটারী বিক্রি করতে গেলে নিশান নামে একজনকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে আবুল কালামসহ আরো কয়েকজন ব্যাটারী চুরির সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানালে নিশানকে মারধর করে ছেড়ে দেয় স্থানীয়রা। এর জের ধরে রোববার রাত তিনটার দিকে হায়দারগঞ্জের বাংলা বাজার থেকে মাসুদ আলমের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক আবুল কালামকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে কাঞ্চনপুর এলাকা একটি সুপারী বাগানে গাছের সাথে বেধেঁ গনধোলাই দিয়ে পালিয়ে যায় সবাই। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যায় আবুল কালাম।
এদিকে নিহতের স্ত্রী রেহানা বেগম ও ভাতিজা তানজিল হোসেন জানান, রাত তিনটার দিকে জোরপূর্বক বাংলা বাজার থেকে মাসুদের নেতৃত্বে ৫/৬জন যুবক আবুল কালামকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে কাঞ্চনপুর বাগানে সুপারী গাছের সাথে বেধেঁ গনধোলাই দিয়ে হত্যা করে। যদি সে চুরি করে থাকে,তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু এইভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হবে, এটা কোন সভ্য সমাজের হতে পারেনা। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন তারা।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পিযুষ দাস বলেন,আবুল কালাম কে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যায়। তার পরেও আমরা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ইসিজি করি। ইসিজির রিপোর্টে দেখে আমি মৃত্যু নিশ্চিত করি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ব্যাটারী চুরির অভিযোগে আবুল কালাম নামে একজনকে গনধোলাই দিয়ে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। জড়িতেরদ গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।