চট্টগ্রাম

রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্ষণের পর শিশু হত্যা, ঘাতক কানাইয়ের ফাঁসির রায়

  প্রতিনিধি ২০ জুলাই ২০২৩ , ৭:১৩:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

খায়রুল কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় মোবারক মিয়া ওরফে কানাই মিয়া (৫০)কে ফাঁসি রায় দিয়েছে আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম এই রায় দেন। অভিযুক্ত কানাই মিয়াকে ফাঁসির পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন। কানাই মিয়া সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্রাপাড়ার নিবু মিয়ার ছেলে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি কোর্ট ) কাজি দিদার উল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতে কানাই মিয়া উপস্থিত ছিলেন। তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আদালতের নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর প্রতিবেশির বাড়িতে যেতে বের হয় উপজেলা সদরের পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের আবদুল হাফিজের মেয়ে ও কুট্রাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়নব। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরদিন ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তার মরদেহ বাড়ির কাছের একটি বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে সরাইল থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন শিশুটির মা ফেরদৌসী বেগম। মামলার একদিন পর তদন্তের সময়ই কানাই মিয়াকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে পুলিশ। ওই শিশু ও কানাইয়ের বাড়ি কাছাকাছি। জয়নবের বাড়ির কাছাকাছি কানাই টং দোকানে ব্যবসা করে আসছিলেন।

আটকের পর কানাই আদালতে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে শিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে কানাই জানায়, সে ৪টি বিয়ে করেছে। ভবঘুরে ও বখাটে স্বভাবের কারণে সব স্ত্রী তাকে ত্যাগ করে চলে গিয়েছে। দাম্পত্য জীবনে তার কোনো সন্তান নেই। ১৬ ডিসেম্বর নিখোঁজের দিন সন্ধ্যার পর শিশুটিকে তার টং দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরে শিশুটিকে হত্যা করে রাতেই লাশ বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখে।

এই মামলা ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কানাই মিয়াকে  অভিযুক্ত করে সরাইল থানা পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। সকল সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এই মামলায় কানাই মিয়াকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।

রায় ঘোষণার সময় বাদি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মেরাজুল ইসলাম ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আবু তাহের আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content