প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২৪ , ৭:৩০:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি মাছের ঘের থেকে একটি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিনের পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামে তার মাছের ঘের থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহটি চেয়ারম্যানের মাছের ঘেরের দক্ষিণ পারের পানির নিচে খুঁটির সঙ্গে বাধা ডুবন্ত অবস্থায় ছিলো। সকলে ঘেরের শ্রমিকরা মাছ ধরার সময় তারা সেটি দেখতে পান। আনুমানিক ৪৫ বছরের মরদেহটির নাম পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এদিক স্থানীয়রা জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে একই গ্রামের মৃত নূরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে সিদ্দিক হাওলাদার (৪৫) নামে এক দিনমজুর নিখোঁজ হন। তাকে গত ১০ দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খোজ করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। ধারনা করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি সিদ্দিকেরই হবে।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান, খবর পেয়ে তারা এসেই মাছের ঘের থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন। পরণের গামছা দেখে তারা নিশ্চিত হয়েছেন এটি নিখোঁজ সিদ্দিকের মরদেহ।
স্কুল শিক্ষক মালেক আরো জানান, সিদ্দিক তার আপন চাচাতো ভাই হন। ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সুলতান ফকির নামে এক লোক সিদ্দিককে মোবাইল করেন। তার ফোনেই সে বের হয়ে সেই থেকে নিখোঁজ। নিখোঁজের পর শরণখোলা থানায় জিডি করা হয়।
খোন্তাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, তিনি কয়েকদিন ধরে এলাকার বাইরে আছেন । সকাকে তার লোকজন ঘেরে মাছ ধরার সময় লাশটি দেখে তাকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি শরণখোলা থানায় অবহিত করেন। তার ঘেরে কারা এই লাশ রেখে কেউ তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করতে পারে। তাই বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানান।
শরণখোলা থানার ওসি এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, মাছের ঘের থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। লাশটি পচে বিকৃত হয়ে যাওয়া সঠিক পরিচয় সনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে সিদ্দিক নামে যে লোকটি নিখোঁজ রয়েছেন তার স্বজনরা বলছেন এটি তারই লাশ। বিষয়টির খোঁজখবর নেওয়া হবে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।