শহীদ মিনারে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের জমায়েত

সকাল সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শান্তি সমাবেশ শুরু করে শান্তিকামী চিকিৎসক ও নার্স সমাজ। তারা দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান করেন সেখানে। পরে দুপুর দেড়টা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে দলে দলে যোগ দিতে থাকেন শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষরা। এক পর্যায়ে বিকালে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায়। 

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি থাকলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে শহীদ মিনার চত্বরে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। শহীদ মিনারের আশেপাশের সড়ক, ভবন ও দেওয়ালে বিভিন্ন দাবির কথা লিখতে থাকেন তারা।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, রিকশাচালক, সিএনজি অটোরিকশাচালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যোগ দিয়েছেন আন্দোলনে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরাও। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে সমাবেশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, জগন্নাথ হলসহ অন্যান্য রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে থাকে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্লোগানে মুখর ছিল শহীদ মিনার এলাকা। 

এসময় বেসরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা কিন্তু কোটা সংস্কারের মতো ছোট একটা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। কিন্তু যখন দেখেছি আমাদের ভাইয়েরা নিহত হয়েছেন তখন কিন্তু আর সেটা কোটা সংস্কারের আন্দোলন রইলো না। এখন আমরা হত্যার বিচার চাইছি।