চট্টগ্রাম

শাহ আমানত সেতুতে ৪ ওয়েস্কেল চালু

  প্রতিনিধি ১০ জুলাই ২০২৪ , ৭:৪২:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

শাহ আমানত সেতুতে ৪ ওয়েস্কেল চালু

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে অবস্থিতে শাহ আমানত সেতুতে অতিরিক্ত পন্যবোঝাই পরিবহণ নিয়ন্ত্রণে ৪টি ওজন মাপার যন্ত্র (ওয়েস্কেল) চালু করা হয়েছে।

এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫২টন ওজন নিয়ে শাহ আমানত সেতুতে উঠতে পারবে যানবাহন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এবং সেতু বিভাগ ও টোল আদায়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কোম্পানি ইউডিসি-ভ্যান জেভি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দেখা গেছে, স্কেলের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ঘিরে ইতোমধ্যে যানজট শুরু করেছে। পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকায় যানজট প্রকট হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তবে দক্ষিণের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, যানজটের কোনো আশঙ্কা নেই। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। সড়ক মহাসড়ক রক্ষার জন্য সরকারের নেয়া এই উদ্যোগে অবশ্যই সুফল মিলবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার অপারেশনাল ডিরেক্টর অপূর্ব সাহা বলেন, ওজন স্কেলে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে এমন নজির নেই। বাড়তি ওজনের গাড়ি থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। কিন্তু এই রুটে তেমন কোনো বাড়তি ওজনের গাড়ি চলাচল করে না। স্বাভাবিক ওজনের গাড়িগুলো মুভিং স্কেলের উপর দিয়ে চলে যায়। তাদের থামতেও হয় না। তাদেরকে কোনো ফি দিতে হয় না। সড়ক মহাসড়ক রক্ষায় সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।

সওজ সূত্র বলেছে, মোটরযান এঙেল লোড নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করার লক্ষ্যে ওজন স্কেল স্থাপিত হয়েছে। নতুন আইনে ৬ চাকার যানবাহনে সর্বোচ্চ ওজনসীমা ২২ টন, ১০ চাকার ওজনসীমা ৩০ এবং ১৪ চাকার ওজনসীমা সর্বোচ্চ ৪০ টন, ১৮ চাকার ৪৭ টন, ২২ চাকার ৪৯ টন এবং ২৬ চাকার গাড়িতে ৫২ টন পণ্য পরিবহন করা যাবে। এর বাড়তি ওজনের গাড়ি ওভারলোড গাড়ি হিসেবে বিবেচিত হবে। বাড়তি ওজনের ক্ষেত্রে প্রথম টন কিংবা ভগ্নাংশের জন্য ৫ হাজার টাকা, পরবর্তী প্রতি টন এবং ভগ্নাংশের জন্য ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content