বাংলাদেশ

শেষ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা

  প্রতিনিধি ১৪ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:২৮:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক : 

শত মানুষের পদচারণায় হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বাহক মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষ হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বের হয়। শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে এটি শেষ হয়।

ইউনেস্কো কর্তৃক ‌‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের স্লোগান হচ্ছে ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’। শোভাযাত্রার সময় কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল পুরো এলাকা।

শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন।

কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নাহিদা সুলতানার সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিবছরই এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে থাকি। এবার রমজান মাস থাকায় সীমিত আকারে শোভাযাত্রা আয়োজিত হলেও অনেক ভালো লেগেছে।

পরিবার সমেত শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন নূর হোসাইন। তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা আমাদের পয়লা বৈশাখ উদযাপনের একটি অংশ। এ উৎসবের সঙ্গে বাচ্চাদের পরিচয় করানোর জন্যই আজ এসেছি।

বেসরকারি চাকরিজীবী জুবায়ের মাহমুদ বলেন, পয়লা বৈশাখ উদযাপন মানেই মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ। তাই সকাল সকাল চলে আসা। এবারে ছোট আকারে হলেও ভালো লেগেছে।

গত তিন দশক ধরে প্রতি বছরই পয়লা বৈশাখে চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হচ্ছে। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় এই শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের মাধ্যমে কূপমণ্ডূকতা ও সংকীর্ণতার ঘৃণ্য অবয়বের ওপর সাংস্কৃতিক আঘাত হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by