দেশজুড়ে

শ্রীপুর থেকে লালমনিরহাট গেলেন করোনা রোগী

  প্রতিনিধি ২ জুন ২০২০ , ৭:৩৮:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: করোনা উপস্বর্গ থাকায় গত ২৭ মে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা পরীক্ষার জন্য আসেন পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের ৩৪বছর বয়সী এক গার্মেন্টস্ শ্রমিক। তার নমুনা পরীক্ষা ০২ জুন জানানো হয় তিনি করোনায় আক্রান্ত। এদিকে অতিরিক্ত জ্বর হওয়ায় সেবা করার লোক না থাকায় তিনি গতরাতে বাসযোগে শ্রীপুর থেকে লালমনিরহাটে চলে গেছেন।

ওই গার্মেন্টস্ শ্রমিক জানান, পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ী মোড় এলাকায় আব্দুল বাতেনের ভাড়া বাড়ীতে ফখরুদ্দিন টেক্সটাইল মিলস্ নামের একটি কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। গত ২২ মে তিনি কারখানায় কাজে যোগদানের পর তার শরীরে জ্বর অনুভূত হয়। তিনি জ্বর নিয়েই কারখানার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিসা নেন। পরে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে তাকে ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন।

এদিকে তার জ্বর না কমায় তিনি ২৭ মে আবার কারখানার ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে স্বাস্থ্যের অবস্থা চিকিসকে জানান। পরে চিকিসক তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ দেন। ওই দিনই তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে নমুনা দেন। নমুনা দেয়ার পর তিনি কেওয়া গ্রামের ওই ভাড়া বাসায়ই অবস্থান করছিলেন।

তিনি আরও জানান, ওখানে আমি একাই ছিলাম। অনেক জ্বর উঠতো। আমি একা কুলাতে পারছিলাম না। আমাকে সেবা করার মত কেউ ছিল না। অনেকটা নিরুপায় হয়ে সোমবার রাতে শ্রীপুর থেকে লোকাল বাস যোগে গাজীপুর চৌরাস্তা যান। সেখান থেকে আরেকটি লোকাল বাসে করে চন্দ্রা এলাকায় গিয়ে লালমনিরহাটের একটি বাসযোগে তিনি মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটে পৌঁচ্ছান। বাসে যেতে তাকে পূর্ণ সরকারী বিধি অর্থানির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই গিয়েছেন বলে জানান। বর্তমান তিনি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার উত্তর জরানী গ্রামে নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছেন এবং কারখানার মেডিকেল টিমের দেয়া পরামর্শমতে চিকিসা নিচ্ছেন।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিসক ডা: এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, নমুনা সংগ্রহ করার পরপরই প্রত্যেক রোগীকে খুব গুরুত্ব দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু অনেকেই তা মানেন না। এতে আশপাশে থাকা সাধারণ মানুষের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে। বর্তমানে লালমনিরহাট যাওয়া রোগীকে ওই এলাকার স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তারা তার চিকিসার ব্যবস্থা করবেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by