প্রতিনিধি ৬ ডিসেম্বর ২০২০ , ৬:২৭:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
বি এম হাবিব উল্লাহ, কক্সবাজার: প্রকৃতি ও নান্দনিক সৌন্দর্য্যে গড়ে উঠা পাহাড়ের সাথে নদীর মিতালিতে ভরপুর চকরিয়া উপজেলার অপরূপ মানিকপুরকে ঘিরে নতুন পর্যটন জোনের উজ্জল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আলীকদম থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রমত্তা মাতামুহুরী নদী চলার পথে মানিকপুর পাহাড়ের পাদদেশে অসম্ভব মিতালীতে মেতে উঠে। একদিকে পাহাড়ের নৈগর্সিক সৌন্দর্য অন্যদিকে পাহাড় ঘেষে বয়ে চলা মাতামুহুরী নদীর বিশাল জলরাশি। আকাশের গোধুলি বেলায় ভ্রমণ পিপাসুদের মাঝে অন্যরকম দর্শনীয় হয়ে উঠেছে এখানকার পরিবেশ। পাহাড় নদীর মিতালী স্বচক্ষে উপভোগ করতে এখন প্রতিদিন মানিকপুর এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন ভ্রমন পিপাসু নারী-পুরুষ। অপরূপ মানিকপুরকে ঘিরে যখন নতুন পর্যটন জোনের উজ্জল সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছিল ঠিক তখনই ভ্রমন পিপাসু মানুষের আগ্রহ দেখে প্রকৃতির অপরূপ মিতালী স্বচক্ষে দেখতে ওই এলাকাটি পরিদর্শনে যান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ। সাথে ছিলেন চকরিয়া উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের একাধিক সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। সরেজমিন পর্যটন জোনের সম্ভাবনা দেখে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ পাহাড় নদীর মিতালীতে ভরপুর সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নকে পর্যটন জোন ঘোষনা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, অপরূপ মানিকপুরকে ঘিরে নতুন পর্যটন জোনের উজ্জল সম্ভাবনা দেখায় স¤প্রতি মানিকপুর পর্যটন স্পট পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়। পরে বিষয়টি আমি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করি এবং মানিকপুরকে পর্যটন কেন্দ্র বা পর্যটন জোন ঘোষনার দাবি জানাই। সভায় উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে ইউএনও মহোদয় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নকে নতুন পর্যটন জোন হিসেবে ঘোষনা দেন। একইসঙ্গে তিনি আগামী দুই মাসের মধ্যে সুরাজপুর মানিকপুরকে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ উপযোগী করার আশ্বাস দেন। চকরিয়া উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সঙ্গে নতুন পর্যটন জোন মানিকপুর ভ্রমনে গিয়েছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার। তিনি বলেন, প্রকৃতির হাতের পরশে সাজিয়ে তোলা পাহাড় এবং নীচের অংশে বেড়ে চলা মাতামুহুরী নদীর বিশাল জলরাশির অপরূপ সৌন্দর্য্য এক অন্যরকম অনুভূতি। বিশেষ করে গোধুলি বেলায় ভ্রমন পিপাসুদের মাঝে দর্শনীয় হয়ে উঠেছে। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বললেন, মানিকপুরের পাহাড়ের সঙ্গে নদীর মিতালী এবং নদীর জেগেউঠা চরে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখলাম। এ অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। এখানকার রাস্তাঘাট, প্রকৃতি ও আবহাওয়া সবই অনেক সুন্দর। তিনি বলেন, মানিকপুরের এই দর্শনীয় পর্যটন জোনকে ভ্রমন পিপাসু মানুষের জন্য আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।