প্রতিনিধি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৭:২৬:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দীর্ঘ ৬ বছর পর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আজিম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দিনব্যাপী সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন ময়দানে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।
এ সময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুল আলম। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ।
সম্মেলনে বক্তরা বলেন, স্বৈরাচারী আ.লীগ ১৭ বছরের শাসনে আমলে বিএনপি ব্যাপক নির্যাতন জুলুমের শিকার হয়েছে। তারা দেশটাকে লুটপাট করে এখন দেশ থেকে পালিয়ে আছে। তাদের বিচার এই বাংলা মাটিতেই হবে। দেশটাকে সাজাতে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বক্তরা আরো বলেন, বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের বাড়ি এই সরিষাবাড়ীতে। জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) নির্বাচনী আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত। সর্বশেষ গত ২০১৯ সালে সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০২১ সালে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। এতে আজিম উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক ও ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমকে সদস্য সচিব করা হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন, আন্দোলন সংগ্রাম, মামলা, হামলা, হয়রানি, গ্রেপ্তারের কারণে নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন করতে পারেনি উপজেলা বিএনপি। দীর্ঘ ৬ বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পরবর্তীতে প্রথম অধিবেশন শেষে জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শামীম তালুকদারের সভাপতিত্বে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু করা হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন কমিটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমকে নির্বাচিত করা হয়। এ সময় ৮ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সর্বস্তরে নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।