প্রতিনিধি ৬ আগস্ট ২০২৪ , ৪:৪৩:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
সাতক্ষীরায় জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দোকান-পাট, ব্যাংক, অফিস-আদালত খোলা ছিল। বাস না চললেও অন্যান্য যানচলাচল স্বাভাবিক ছিল।
এদিকে, সহিংস ঘটনায় এক আওয়ামী লীগের নেতাসহ কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ না করতে বিক্ষুব্ধ জনগণকে আহ্বান করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতারা।
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী জানান, সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে কয়েকশত লোক মিছিল নিয়ে নাকনা গ্রামের জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার বাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে তারা জাকিরের বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে তিনি ছাদ থেকে তাদে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ১০-১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলে নিহত হন কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের হাফেজ আনাস বিল্লাহ (১৬), কল্যাণপুর গ্রামের আদম আলী (১৬) ও কোলা গ্রামের আলম হোসেন। জাকির হোসেন প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা।
একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনগণ জাকির হোসেনের বাড়িতে ঢুকে জাকির, সহযোগী শাকের আলী, জাহাঙ্গীর আলম, সজীব হোসেন ও আশিকককে কুপিয়ে হত্যা করে। গুলিবিদ্ধ হিজলিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যায়।
এদিকে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামের রাফেল সরদারের ছেলে আসাফুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।