প্রতিনিধি ৯ জুন ২০২১ , ৭:৩৫:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
সাতক্ষীরায় ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষনের প্রায় দুই মাস পরে ৫০ হাজার টাকায় রফাদফার ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষনের পরে ঐ শিশু কন্যাকে গর্ভপাত করানো হলে ঘটনাটি ফাঁস হয়। ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা শহরের বাটকেখালি গ্রামে।
ভুক্তভোগীর পিতা বাটকেখালি গ্রামের কুরবান আলী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান, গত দুই মাস আগে আমার মেয়ে পাশের বাড়ি নজরুল ইসলামের ছাদে প্রতিদিন যেত। একদিন নজরুলের বাড়ি কেউ না থাকায় টাকা ও খাবার কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে ঘরের ভিতরে ডাকে। লম্পট নজরুল ২০-৫০ টাকা দিয়ে জোরপূর্বক আমার মেয়েকে ধর্ষন করে এবং বাবা মায়ের সঙ্গে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। আমি গতমাসে জানতে পারি, আমাদের শিশু মেয়েটি সন্তান সম্ভবা।
পরে আমরা বুঝতে পেরে ঘটনাটি জানতে চাইলে সে সব খুলে বলে। এরপর নজরুল ইসলামের স্ত্রী কৌশলে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে অগচরে ওষুধ খাইয়ে দেয়। তখন গর্ভপাত হয়ে যায়। এদিকে, গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় ড্রাইভার কেসমত, কাশেমসহ কিছু দালাল ব্যক্তিরা বসে ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এখনো পর্যন্ত মিমাংসা হয়নি। তবে কিছু দালাল সম্প্রদায়ের মানুষ ভ‚ক্তভোগীদের থানায় যেতে বাঁধা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বাটকেখালি গ্রামের সন্তোসের ছেলে নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ভুল করে ফেলেছি। বুঝতে পারিনি এমন হবে। পাশাপাশি বসবাস। কিভাবে মীমাংসা করবো সেই চেষ্টা করছি। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, ধর্ষণের শিকার শিশু ও তার পরিবার দোষীকে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবী জানিয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।