দেশজুড়ে

সিরাজগঞ্জে বিয়ের যৌতুক না দেওয়ায় নির্যাতন

  প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:৫৭:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

সিরাজগঞ্জে বিয়ের যৌতুক না দেওয়ায় নির্যাতন

সিরাজগঞ্জে বিয়ের একমাস পর যৌতুকের দাবীতে মোছা. কাকলী শিকদার নামে এক তরুণীকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। এছাড়াও যৌতুকের মামলা করায় ওই তরুণীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জ প্রেসকøাব বরাবর করা এক লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী কাকলী শিকদার এমন অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারী সিরাজগঞ্জ শহরের বাহিরগোলা মহল্লার ডা. মো. শাহাদৎ হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুজনে ঘরসংসার করছিলেন। এ অবস্থায় কাকলীর প্রতিবেশী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের শৈলবাড়ী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রেদওয়ান রাফি (২২) ও তার মা মোছা. লাভলী বেগম তাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতে থাকেন। সেই সুবাদে কাকলীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে রেদওয়ান রাফি। প্রেমের সম্পর্ক চলাবস্থায় স্বামী শাহাদৎ হোসেনকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ের করার জন্য কাকলীকে প্রস্তাব দেন রেদওয়ান রাফি। রাফির মা লাভলী বেগমও তার ছেলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে কাকলীকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাতায়াত করেন। এ অবস্থায় লাভলী বেগম ও জাহাঙ্গীর আলম দুই দফায় কাকলীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকাও নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এক পর্যায়ে রেদওয়ান রাফি ও লাভলী বেগমের প্ররোচনায় ডা. শাহাদত হোসেন কাকলীকে মৌখিক তালাক দেন। ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর কাজী সাহেবকে নিয়ে এসে ৩ লাখ টাকা রেজিষ্ট্রি কাবিনমূলে কাকলীকে বিয়ে করে রাফি। বিয়ের পর প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ঘরসংসার করাবস্থায় কাকলীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে তার স্বামী রাফি, শশুর জাহাঙ্গীর আলম ও শ্বাশুরী লাভলী খাতুন। যৌতুক দিতে না পারায় কাকলীকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কাকলী বাবার বাড়ি চলে আসি। এ অবস্থায় রাফির বাবা জাহাঙ্গীর আলম মিথ্যা অভিযোগে কাকলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গত ৪ ডিসেম্বর কাকলী বাদী হয়ে যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
কাকলী আরও অভিযোগ করেন, যৌতুক মামলা দায়েরের পর থেকে প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগীরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। অটোরিকশার ব্যাটারির পানি দিয়ে তার শরীর ঝলসে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তাদের ভয়ে নিজের বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন কাকলী। অসহায় কাকলী নিজের অধিকার ফিরে পেসে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে দাবী জানিয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content