দেশজুড়ে

সীতাকুণ্ডে মোস্তফা অয়েল মিলের বিষাক্ত এসিডের পানিতে ঝলসে গেছে ৫ একর জমির ধান ক্ষেত

  প্রতিনিধি ১৬ আগস্ট ২০২১ , ৭:৫৫:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

কামরুল ইসলাম দুলু.সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম):       

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি অয়েল মিল থেকে নির্গত বিষাক্ত এসিডের পানিতে ঝলসে গেছে ৫ একর জমির ধান ক্ষেত। এর প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের  ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়া পাড়া গ্রামের মোঃ নাছিম উদ্দিন জানান, ভাটিয়ারীতে অবস্থিত মোস্তফা অয়েল মিলের পিছনে আমার ৫ একরসহ আরো অন্যান্য কৃষকের কৃষি জমি রয়েছে।

উক্ত জমিতে ধান রোপন করেছি এবং অন্যান্য কৃষকরাও জমিতে ধানের পাশাপাশি অন্যান্য সবজির আবাদ করেছে। মোস্তফা অয়েল মিলের কারখানা থেকে বর্জ্য হিসেবে বিষাক্ত উত্তপ্ত পানি ও সালফার এসিড নির্গত হয়। গত প্রায় তিন বছর যাবত এই বর্জ্যের প্রভাবে আমার উর্বর জমিতে আবাদ কম হওয়াসহ ফলন্ত ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিগত বছরের মত এবারও আমি ওই জমিতে ধান চাষ করেছি।

এর মধ্যে প্রায় ৫ একর জমিতে রোপন করা ধানের চারা ফ্যাক্টরীর বিষাক্ত এসিডে ঝলসে গেছে। এতে আমি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এভাবে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কারখানার মালিককে বিষয়টি জানিয়ে নিরাপদে বজ্য ও এসিড মিশ্রিত পানি ঝুঁকিমুক্তভাবে সরানোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানিয়েছি। কিন্তু তারা সে কথা কানে নেয়নি। নির্গত এসিডের বিষাক্ত পানির কারণে ধানসহ কোন সফলই হচ্ছেনা। কমে যাচ্ছে জমির উর্বররতা ।

এছাড়াও ওই সমস্ত জমিতে কৃষক নামতেই পারেনা। এসিডের পানির কারণে পায়ে নানা রকম রোগ দেখা দেয়। কৃষক নাছিম উদ্দিন আরো বলেন, জমিতে রোপন করা ধান এবং বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে লোকসান হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মতো। মোস্তফা অয়েল মিল কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার প্রতিকার চেয়েও না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষক মোঃ নাছিম।

এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন  বলেন, এক কৃষক অভিযোগ দিয়েছেন এসিডের পানিতে তার ক্ষেতের রোপন করা ধানের চারা জ্বলে গেছে। বিষয়টি অমানবিক। এব্যাপারে আমরা ওই কারখানার কৃর্তপক্ষের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে মোস্তফা অয়েল ভেজিটেবল কারখানার ম্যানাজার নুরুল ইসলাম তাদের ফ্যাক্টোরীর নির্গত এসিডের পানিতে কৃষকের ধানের চারা ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা জমিতে পানি না যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি আর কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে তা আমরা পুষিয়ে দেবো।

 

আরও খবর

Sponsered content