চট্টগ্রাম

হাটহাজারীতে জাল জালিয়াতি করে সুপার নিয়োগের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৩ অক্টোবর ২০২৪ , ৩:১১:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

হাটহাজারীতে জাল জালিয়াতি করে সুপার নিয়োগের অভিযোগ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তথ্য গোপন ও জালিয়াতি করে সুপার পদে চাকরি নেওয়া এবং নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে।

উপজেলার ধলই ইউনিয়নের এনায়েতপুর বায়তুশ শরফ আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. ফরিদুল আলমের বিরুদ্ধে এ নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন মাদ্রাসার বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তি মুহাম্মদ ইদ্রিস।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. ফরিদুল আলম ১৯৯১ সালে সহকারী মৌলভী পদে যোগদান করেন।

তবে, তখন তিনি ছিলেন নাজিরহাট জামিয়া মিল্লিয়া আহমদীয়া কামিল মাদ্রাসার নিয়মিত ছাত্র। চাকুরীরত অবস্থায় নিয়মিত ছাত্রত্ব বজায় রাখেন যা সম্পূর্ণ নিয়মবহিভূত।বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসাসমূহ) এর নীতিমালা, ১৯৯৫ এর ১৭(৩) অনুচ্ছেদে ভুয়া তথ্য প্রদান করে শিক্ষক নিয়োগ হলে বেতন ভাতাদি সরকারি অংশ বন্ধ ও বাতিলের বিধান রয়েছে।
এছাড়াও তিনি সহকারি মৌলবি হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন ১৫ই মার্চ ১৯৯১ এবং এমপিও ভুক্ত হন ১লা এপ্রিল ১৯৯১। মাদ্রাসার সুপার পদে যোগদান করেন ২৭ জুন ২০০০।

তিনি এমপিও ভুক্তি হওয়ার ৯ বছর ১ মাস ২৭ দিন পর সুপার পদে যোগদান করেন। ১৯৯৫-২০১৮ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসায় শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জনবল কাঠামো সম্পর্কে নীতিমালা ১৯৯৫ প্রয়োগযোগ্য ছিল। তার আলোকে দাখিল মাদ্রাসায় কমপক্ষে ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকার শর্ত থাকলেও তিনি তাও মানেননি। নানা জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তিনি সুপার পদে পদায়েন হয়েছেন।

এবিষয়ে অভিযোগকারী মুহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, সুপারের নানা জালিয়াতি ও অনিয়মের বিষয়ে আমি আগেও অভিযোগ করেছি। ইউএনও মহোদয় তৎকালীন সমবায় অফিসার বিজয় কৃষ্ণ নাথকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় দুই বছরেও তিনি প্রতিবেদন দেননি।

এবিষয়ে জানতে সাবেক সমবায় অফিসার বিজয় কৃষ্ণ নাথকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে জানাবেন বলে ফোন রেখে দেন।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুপার মো. ফরিদুল আলম বলেন, সব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। আমাকে বিপদে ফেলতেই এমন অভিযোগ। তিনি তার সকল কাগজপত্র সঠিক আছে বলে দাবি করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, এমন একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content