দেশজুড়ে

রামেক হাসপাতালে চার দিনে ৩২ মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

  প্রতিনিধি ২৯ মে ২০২১ , ৩:০৪:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

 

রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে আবারও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ২৪ মে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর শুক্রবার (২৮ মে) পর্যন্ত এই চার দিনে করোনা ও উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। এই ৩২ জনের মৃত্যু নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরাও। 

 

জানা গেছে, সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজশাহী জেলা ও রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সংক্রমণের সাথে সাথে এই দুই জেলায় মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি। তাই রাজশাহীতে প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আরো কঠোরতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তার সঠিক বাস্তবায়ন চান বিশেষজ্ঞরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার (২৮ মে) দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ও আইসিইউতে তারা মারা যান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে চারজনের করোনা পজিটিভ। বাকি ছয়জনের করোনা উপসর্গ ছিল। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
মৃতদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচজন, রাজশাহীর তিনজন, নাটোরের একজন ও কুষ্টিয়ার একজন। তারা হলেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীর্ষ মোহাম্মদ, লুফর রহমান, লাল মোহাম্মদ, গোলেসা বিবি ও নজরুল ইসলাম। আর রাজশাহী নগরীর শরিফ হোসেন, হুমায়ুন কবির ও বাগমারার আব্দুর রহমান এবং নাটোরের মোহনপুর এলাকার আবুল কাশেম।
ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ও আইসিইউতে মোট ১৭৭ জন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৩ জন।
রামেক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও। এটা পরিস্থিতি খারাপের লক্ষণ। করেনায় আক্রান্তদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। এভাবে চললে সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে।
তিনি জানান, এখনো চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেক মানুষ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গা দিয়ে রাজশাহী শহরে আসছে। এই বিষয়টির প্রতি কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। রাজশাহীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে নিশ্চিত করার ব্যাপারেও বিশেষজ্ঞগণ মত প্রকাশ করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content