দেশজুড়ে

শরণখোলায় নির্মানের পরেই ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়ক

  প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২০ , ৫:১৯:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

শরণখোলায় নির্মানের পরেই ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়ক

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : একদিকে সড়ক নির্মানের কাজ চলছে আবার অন্যদিকে তা ভেঙ্গে পড়ছে। নাম মাত্র বালু দেয়া আর কোন প্রকার কম্পেকশন ছাড়াই করছে সড়কের পার্শ্ব প্রসস্তকরণ হেরিংবোনের কাজ। সড়ক বিভাগের অবহেলার কারনে বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-শরণখোলা-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কে এভাবে ইচ্ছামতো কাজ করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদর।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বাগেরহাট সড়ক বিভাগ ছয় মাস আগে সাইনবোর্ড-শরণখোলা-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া কাঠেরপুল থেকে রায়েন্দা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়ক প্রসস্ত করনের দরপত্র আহবান করে। সড়কের দুই পাশে তিন ফুট করে পাঁচ কিলোমিটার পার্শ্ব প্রসস্তকরনের জন্য হেরিংবোনের প্রাক্কলন করা হয়।

বাগেরহাটের মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক কোটি ৩৯ লাখ টাকায় ওই কাজ নিয়ে শুরু থেকেইে অনিয়মের আশ্রয় নেয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ফেলে রেখে এখন জুন মাসে বিল উত্তোলনের জন্য তাড়াহুড়া করে যেনতেন ভাবে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নির্মান কাজে মাত্র আড়াই থেকে তিন ইঞ্চি বালু দেয়া হচ্ছে। কোন প্রকার কম্পেকশন ছাড়াই ইট বিছানোর কারনে গাড়ীর চাকা ওঠার সাথে সাথে তা ডেবে যাচ্ছে। এছাড়া পাশে কোন মাটি না দেয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতি মধ্যে ভেঙ্গে পড়ছে। একদিকে কাজ চলছে আবার অন্যদিকে তা ভেঙ্গে পড়ছে।

এসময় ধানসাগর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ও তাফালবাড়ি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, নুন্যতম বালু না দিয়ে এতো খারাপভাবে কাজ করছে তা বলে বুঝানো যাবে না। কাজ শেষ করার আগেই তা ভেঙ্গে পড়ছে। এই কাজের নামে সরকারি অর্থ লোপাট ছাড়া আর কিছুই না বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই ঠিকাদার শরণখোলায় যতগুলি কাজ করেছে তা সবই নি¤œমানের। যার জন্য এখনো মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মাঈনুল ইসলাম টিপু, আমড়াগাছিয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা অজিত কির্তনিয়া, মনিন্দ্রনাথ হালদার বলেন, দীর্ঘদিন কাজ ফেলে রাখার পর জুন মাসে বিল তুলে নেয়ার জন্য এখন যেনতেন ভাবে কাজ শেষ করছেন। এর চেয়ে কাজ না করা ভাল ছিল। তারা বিষয়টি দেখার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগেরহাট সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওই কাজের তদারকি কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়া বলেন, তার যোগদানের আগে ওই কাজের প্রাক্কলন করা হয়েছে। প্রাক্কলনে মাত্র তিন ইঞ্চি বালু ধরায় কাজটি ঠিকমতো হচ্ছে না। এলাকাবাসীর অভিযোগের কারনে বিষয়টি নিয়ে আমরাও বিব্রত। তবে যেসব স্থানে ডেবে বা ভেঙ্গে গেছে তা ঠিক করিয়ে দেয়া হবে।

বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়টি আমিও দেখে এসেছি। কম্পেকশনের পরে মুলতঃ তিন ইঞ্চি বালু থাকার কথা। আসলে বৃষ্টির কারনে নির্মান করা সড়ক ডেবে যাচ্ছে। তবে সব কাজ ঠিক করে না দেয়া পর্যন্ত ঠিকাদারকে বিল দেয়া হবে না।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজের মালিক মশিউর রহমান সেন্টু বলেন, বৃষ্টির কারনে নির্মানাধিন সড়কের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে তা ঠিক করে দেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content