দেশজুড়ে

বৈষম্যমুক্ত সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি দেশ ও জাতি এগিয়ে যায়: পলক

  প্রতিনিধি ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:৫৯:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

বৈষম্যমুক্ত সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি দেশ ও জাতি এগিয়ে যায়: পলক

নাটোরের সিংড়ায় প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়নে নেয়া ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের অধীনে নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলায় ৫ মাসের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ৫৮০ জনের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে একটি করে কোরআই ৫ ল্যাপটপ। চার ক্যাটাগরিতে দেয়া প্রশিক্ষণ ও ১মাসের ইন্টার্নশিপ করার পর আর্থিক সচ্ছলতা অর্জনে তারা যেন স্বনির্ভর হতে পারে এ জন্য তাদের হাতে এই ল্যাপটপ তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।

তার নিজ নির্বাচনী এলাকা নাটোর-৩ সিংড়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার চত্বরে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে এই ল্যাপটপ তুলে দেন তিনি। এসময় প্রশিক্ষণার্থীরা যদি উদ্যোক্তা হতে চায় তবে তাদের জন্য স্টার্ট-আপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ থেকে ৫ কোটি বিনিয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।

এ জন্য তাদেরকে যোগ্যতা অর্জনের আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে ল্যাপটপ প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে পলক বলেন, এই বিশ্বজয়ের হাতিয়ার ল্যাপটপ আপনাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার। নারীদের স্মার্ট কর্মসংস্থানে জন্য তিনি ৬৫ হাজার টাকার ল্যাপটপ, প্রশিক্ষণে ৪৩ হাজার টাকাসহ সব মিলিয়ে একজন প্রশিক্ষণার্থীর পেছনে যে ব্যয় হয়েছে তা যেন ব্যর্থ না হয়।নিজে এখনো নারী নেতৃত্বের অধীনে আছেন উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বৈষম্যমুক্ত ও সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে একটি দেশ ও জাতি এগিয়ে যায়।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের চাকরিতে ৬০ শতাংশ নারী কোটা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সামাজিক বিপ্লব এনেছেন। এতে যৌতুকের প্রবণতা কমেছে। যদি আমরা নারী-পুরুষ একসঙ্গে কাজ করি তবে সেই দেশ এগিয়ে যাবে। অর্ধেক শক্তি নয় সম্পূর্ণ শক্তিতে এগিয়ে গেলে সফলতা আসে। সে জন্য শি পাওয়ার এর পর খুশী হয়ে ‘হার পাওয়ার’ নাম দিয়ে নতুন প্রকল্প অনুমোদন করেন। তিনি চান নারীদেরকে প্রযুক্তি শক্তির সঙ্গে সম্মিলন ঘটিয়ে ৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে। তিনি দক্ষ কর্মী হওয়ার সুযোগ-কে সার্বজনীন করেছেন। বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘হার পাওয়ার প্রকল্প’এর প্রকল্প পরিচালক রায়হানা ইসলাম।প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা খাতুন, নাটোরের সহকারী পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান, ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন বিএফডিএস’র জেনারেল সেক্রেটারি মাহফুজ রহমান, টিএমএসএস প্রতিষ্ঠাতা হোসনে আরা প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content