প্রতিনিধি ১৩ মে ২০২৪ , ৩:০৭:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
বিমানবন্দরের সেবাকে আধুনিকায়ন, তড়িৎ ও ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে প্রায় ১০ বছর আগে কেনা হয়েছিলো দুটি মাইক্রো গাড়ি। আধুনিক ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম (আইটিএস) এবং রানওয়ের লোড, আবহাওয়ার তথ্য দিতে সক্ষম এই দুটি গাড়ি কেনা হয়েছিলো প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয় করে।
২০১৪ সালে কেনা হলেও একটি গাড়ি কয়েকদিন ব্যবহার এবং আরেকটি গাড়ি একদিনের জন্যও ব্যবহার না হওয়ায় বিমানবন্দরের গ্যারেজে ঠাঁই পেয়েছে। গাড়ি ব্যবহৃত না হলেও গাড়িতে থাকা ল্যাপটপ খুলে নিয়ে কর্মকর্তারা দিব্যি ব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা করে দুটি গাড়ি কেনা হয়েছিলো ৭কোটি টাকায়। গাড়ি কেনার পর জ্বালানি সংকটের কথা বলে প্রথমেই গাড়িগুলো ফেলে রাখা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ মাসে ২শ লিটার করে মোট ৪শ লিটার জ্বালানির অনুমোদন দেয়। এরপরও মেজারিং ভেহিকল পিসিএন (পেভমেন্ট ক্ল্যাসিফিকেশন নাম্বার) গাড়ীটি কিছুদিন চললেও ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকেলটি এক দিনের জন্যও চালায়নি কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে দুটি গাড়িই বিমানবন্দরের মোটর ট্রান্সপোর্ট শাখার গ্যারেজে পড়ে আছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকল ও মেজারিং ভেহিকল পিসিএন (পেভমেন্ট ক্ল্যাসিফিকেশন নাম্বার) নামের গাড়ি দুটি ২০১৪ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জন্য আনা হয়। এর মধ্যে ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকলটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় আনা হয় সুইডেন থেকে। আনার পর থেকে একদিনের জন্যও গাড়ীটি ব্যবহৃত হয়নি।
অপরদিকে মেজারিং ভেহিকল পিসিএন গাড়িটি আংশিক প্রস্তুত অবস্থায় আনা হয় ডেনমার্ক থেকে। এটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয় বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে। মেজারিং ভেহিকল পিসিএনটি কিছুদিন সার্ভিস দিলেও ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকেলটি একদিনের জন্যও ব্যবহৃত হয়নি। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাউসার এম মোহায়মেন ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকেলের ল্যাপটপটি তাঁর কাছে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার আগের কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বদলি হয়ে যাওয়ার সময় ল্যাপটপটি আমাকে দিয়েছেন।
বর্তমানে ফ্রিকশন মেজারিং ভেহিকেলটি অকেজো পড়ে রয়েছে। তবে কী কারণে অকেজো রয়েছে, তা তিনি জানাতে পারেননি।এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন। তিনি সরাসরি অফিসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বলেন।