দেশজুড়ে

কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে তিনগুণ পশু প্রস্তুত সিরাজগঞ্জে

  প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২৪ , ৫:১৯:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে তিনগুণ পশু প্রস্তুত সিরাজগঞ্জে

আর কদিন পরই শুরু হবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহা বা কোরবানির ঈদ । চাঁদ দেখা অনুযায়ী হিজরি সনের জ্বিল হাজ্ব মাসের ১০ তারিখ অথবা ইংরেজি আগামী ১৬ বা ১৭ জুন উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। তাই ঈদকে সামনে রেখে এখন থেকেই শুরু হয়েছে কোরবানির পশু কেনা-বেচা।

এবার সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় ৬লক্ষ ২৪হাজার ৯শ ২৮টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানি ঈদে সিরাজগঞ্জ জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ২লক্ষ ১৭হাজার ৮’শ ৫০টি। সেখানে কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে ৪লক্ষ ৭হাজার ৭৮টি। জেলার ৯টি উপজেলায় এবার ছোট বড় মিলে প্রায় ১৭হাজার খামার রয়েছে। যেখানে ১০টির উপরে গরু পালনের খামার রয়েছে প্রায় ১৪’শ টি। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে শেষ সময়ে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার খামারিরা।

এসব খামারগুলোর মধ্যে ষাঁড় গরু রয়েছে ১লক্ষ ৭৩হাজার ১১০টি। বলদ গরু রয়েছে ৩৩হাজার ৬০৫টি। গাভি রয়েছে ১৫হাজার ৭১৭টি। মহিষ রয়েছে ৩হাজার ৬৮১টি। ছাগল রয়েছে ৩লাখ ৩৮হাজার ২৩৫টি। ভেড়া রয়েছে ৬০হাজার ৫৮০টি। এসব পশু জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে যাবে বিভিন্ন জেলায় । সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের খামারি নবিদুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য এবার আমার খামারে ৪০টি গরু পালন করছি।

এগুলোর মধ্যে ইন্ডিয়ান, শাহীওয়াল, ফ্রিজিশিয়ান, বাহামা জাতের গরু আছে। এর ভিতরে প্রতিটি গরু এক লক্ষ থেকে শুরু করে ১০লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হবে। আশা করছি এবার ঈদ বাজারে গরুর ভালো দাম পাওয়া যাবে। সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের ছাগলের খামারি আলতাফ হোসেন বলেন, আমার খামারে ২৫টি ছাগল আছে, তারমধ্যে ৫-৬টি ছাগল এবার ঈদে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করেছি। এর ভিতরে সর্বোচ্চ দামের ছাগল হবে হরিয়ানা।

যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩লাখ টাকা। এছাড়াও তোতাপুরি, বিটোল, জাতের ছাগল আছে আমার খামারে সেগুলো কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রেখেছি । এছাড়াও জেলার কয়েকজন গরুর খামারির সঙ্গে কথা হলে জানা যায়, পশু মোটাতাজা করতে ধানের কুঁড়া, গমের ভুসি, কাঁচা ঘাস, খড় ও খৈল খাওয়ান তারা। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে পশু কোরবানি নির্বিঘ্নে করতে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগও নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, এবার ঈদে পশু বিক্রির জন্য যে-সব খামারিরা হৃষ্টপুষ্টকরণের সাথে জড়িত আছেন তাদেরকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও ঈদকে সামনে রেখে এবার সঠিক পদ্ধতিতে পশু জবাই, চামড়া ছাড়ানো সংরক্ষণ বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলায় ৩০জন করে ৯টি উপজেলায় ২৭০জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এবং ঈদের আগে প্রতিটি উপজেলায় মসজিদের ইমামদের পশু জবাই করার উপরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলায় এবার কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ২৯টি স্থায়ী হাট এবং ১০টি অস্থায়ী হাট বসবে। প্রতিটি হাটে আমাদের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকবেন।

আরও খবর

Sponsered content