দেশজুড়ে

শান্তি আলোচনার নামে ধোঁকা দেয়া হয়েছে জাতিকে – কাজী মজিবর রহমান

  মো. শহীদুল ইসলাম ২৩ মে ২০২৪ , ৫:৪৭:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

শান্তি আলোচনার নামে ধোঁকা দেয়া হয়েছে জাতিকে - কাজী মজিবর রহমান

সন্ত্রাসী কর্তৃক যেখানে দেশ রক্ষা বাহিনী সেনাবাহিনী কে গুলি করে হত্যা করা হয় সে অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে।শান্তি কমিটির নামে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে যে আলোচনা হয়েছে একটি বছর অভিযান বন্ধ রেখে আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা করা হয়েছে এটি ধোঁকা দেয়া হয়েছে পুরো জাতিকে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে জেলার একটি হোটেলে বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আয়োজনে কেএনএফ এর বিরুদ্ধে চলমান অভিযান, হিলটেক্স রেগুলেশন আইন বাতিল,উপজেলা পরিষদের নির্বাচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন ৭১ সালে পাকিস্তানিরাও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলো আসুন বসুন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করি। একদিকে আলোচনা করে সময়ক্ষেপণ করেছিলেন আইয়ুব ইয়াহিয়া অন্যদিকে পশ্চিম পাকিস্তান হতে সেনা সদস্য এনে পূর্ব পাকিস্তানের ক্যান্টনমেন্ট গুলোতে রিজার্ভ করেছিলো অস্ত্রশস্ত্র এর পর ২৫শে মার্চ রাতে নিরীহ বাঙালিদের উপর তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।

ঠিক তেমনিভাবে কেএনএফ এর সাথে শান্তি আলোচনার নামে দিয়ে একটি বছর চলমান অভিযান বন্ধ রেখে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা তাদের (কেএনএফ) পুনরায় সমস্ত শক্তির জোগান করে দিয়েছে। এই এক বছরে তারা অস্ত্রের মজুদ বাড়িয়েছে, শক্তি বাড়িয়েছে, সদস্য বাড়িয়েছে যাতে তারা সেনাবাহিনী,পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে লড়তে পারে এর পেছনে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা নিজেই সংশ্লিষ্ট।

এসময় তিনি বলেন চলমান অভিযানে সীমান্তের অনেক পাহাড়ি জনসাধারণ অসুবিধায় আছেন।তিনি বলেন আমাদের কাছে ম্যাসেজ আছে কেএনএফ আবারো আলোচনায় বসতে চায় তারা অস্ত্র ফেরত দিয়ে সেনা অভিযান বন্ধ, সেনা পোস্ট তুলে নেয়া ,সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার এ ধরনের দাবি করবে। তিনি বলেন অস্ত্র ফেরত দিলেই কি নিহত সেনাবাহিনীর সদস্যরা ফিরে পাওয়া যাবে?

তিনি বলেন অস্ত্র জমা দেক বা না দেক অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে, সন্ত্রাসীদের সাথে কোন আলোচনা নয়।যদি আলোচনার নাম দিয়ে যৌথ অভিযান বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে দেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত হবে দেশরক্ষা বাহিনীর চাইতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা আরো অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি বলেন আমাদের দাবি আলোচনা চললেও অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে,সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার পরেও পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠা অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।

এদিকে তিনি অভিযোগ করে বলেন অংশগ্রহণ মূলক অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় কোন রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা না করার কথা থাকলেও আওয়ামীগের জেলা পর্যায়ের অনেক নেতাই প্রার্থীর পক্ষে মাঠে ছিলেন। এছাড়াও নাগরিক পরিষদের অনেক নেতাকর্মীদের প্রাণ নাসের হুমকি ও মামলায় জড়ানো হয়েছে।

নির্বাচনে এ ধরনের আচরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য বান্দরবানের জনপ্রিয় সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ সবসময় সম্প্রতির বান্দরবানে সম্প্রতি বজায় রাখার স্বার্থে কাজ করবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, লামা প্রেসক্লাবের, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজালাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ও ইকবাল সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।