শেরপুরে ফার্মেসি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব মানছেনা কেউ

শেরপুর প্রতিনিধি : বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড–১৯) পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মত শেরপুর জেলায় এ সংক্রমণ ব্যাধি বেশি না ছাড়ায় এজন্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির শুরুতে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে লিফলেট বিতরণ এবং প্রচার–প্রচারণা করা হয়।

সারাদেশেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে তবে তুলনামূলক অন্যান্য জেলার চেয়ে শেরপুর জেলায় এ সংক্রমণের সংখ্যা এখন পর্যন্ত অনেকটা কম রয়েছে। এদিকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষ আরো সচেতন না হলে ও সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে এ জেলায়। 

সরকারি নির্দেশনায় শেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেধে দেয়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্য বিধির এসব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেনা কেউ। লকডাউন শিথিলের পর শেরপুর জেলা শহরের তিনআনী বাজার কলেজ মোড় ঔষধের ফার্মেসী দোকানসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঔষধ খাদ্যদ্রব্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করতে আসা মানুষ গাদাগাদী করে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন। এতে করে করোনা সংক্রমণসহ স্বাস্থ্যবিধি হুমকির মুখে পড়েছে।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জেলা শহরের তিনআনী বাজারের ঔষধ ফার্মেসি দোকান এবং শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে দেখা যায় ক্রেতা–বিক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা করছেন না কেউ।

বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতোপূর্বে শহরের ফার্মেসির মালিক, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ক্রেতাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ড করা হলেও কিছুদিন সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকে।

এদিকে সরকার সারাদেশে লকডাউন শিথিল করার ফলে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় শহরের এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লকডাউনের পূর্বের সেই চিত্র ফিরে এসেছে। এব্যাপারে শেরপুর জেলাকে আরো নিরাপদে রাখতে হলে প্রশাসনের নজরদারী এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হলে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধির নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে এমনটাই মনে করেন শেরপুরের সচেতন মহল।