রংপুর

উলিপুরে দ্বিগুণ লাভের মুখিকচু চাষ

  প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২৪ , ৪:৫১:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

উলিপুরে দ্বিগুণ লাভের মুখিকচু চাষ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে মুখিকচু চাষে দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন কৃষকেরা। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মুখিকচুতে লোকসানের সম্ভাবনা অনেক কম। এছাড়া অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষক মুখিকচু চাষে ঝুঁকছেন। তবে এবারে তীব্র তাপদাহের কারণে কচু চাষে একটু সমস্যা হয়েছে।

এখন একটু একটু করে বৃষ্টি হওয়ায় কচুর ফলনের কোন সমস্যা হবেনা জানান কৃষকেরা। তাছাড়া মুখী কচু চাষে আর্থিক সচ্ছলতা ও স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এছাড়া ধান উৎপাদনে খরচ বেশি লাভ কম। তাই ধান ও পাটের পরিবর্তে মুখিকচু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। কচু মানবদেহে শর্করা সরবরাহ করে।

কচুতে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকায় বাজারে চাহিদা অনেক বেশি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা প্রায় ৫২০ হেক্টর। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১২০ হেক্টর। এর মধ্যে মুখিকচু চাষ রয়েছে। জুনের মধ্যে লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে বলে জানান। উপজেলায় মুখিকচুর ৭ টি প্রদর্শনী রয়েছে।

প্রদর্শনী গুলোতে কৃষক প্রতি বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুখিকচু চাষিদের উপজেলা কৃষি আফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রয়েছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্ষেতজুড়ে মুখিকচুর চাষ। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তারা খরচের দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন কচু চাষে।

মুখিকচু চাষে লোকসানের সম্ভাবনা অনেক কম থাকায় দিনে দিনে এ কচু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকেরা জানান, কচু চাষ একটি লাভজনক ফসল। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাওয়া যায়। সবজির মধ্যে অন্যতম মুখিকচু। সু-স্বাদু হওয়ায় বাজারে ক্রেতাদের অনেক চাহিদা থাকে। এছাড়া ধান উৎপাদনে খরচ বেশি লাভ কম। তাই ধান-পাটের পরিবর্তে কচু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। কচু মানবদেহে শর্করা সরবরাহ করে।

কচুতে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকায় বাজারে চাহিদা অনেক বেশি।উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হোকডাঙ্গা বকশিপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার জানান, এবারে ২৫ শতক জমিতে মুখিকচুর চাষ করেছেন। এখন কচুর ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন। তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা।

কচুর ফলনের আশা করছেন প্রায় ৫০ মণের। মণ প্রতি ১ হাজার টাকা হলেও মোট আয় হবে ৫০ হাজার টাকা। যা খরচ বাদেও ৩০ হাজার টাকা আয়ের আশা করছেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মুখিকচু চাষি শফিকুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, কাশেম মিয়া, নওয়াব আলী, ওয়াহেদ, খতিব উদ্দিন, সালাম ও এমদাদুল হক সহ আরও অনেকে বলেন, মুখিকচু চাষ একটি লাভজনক ফসল। যা অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ করা যায়।

মুখিকচুতে রোগবালাই কম হয় ফলনও অনেক ভালো হয়। মুখিকচু ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। এছাড়া ধান উৎপাদনে খরচ বেশি লাভ কম। তাই ধান-পাটের পরিবর্তে কচু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা। কচু মানবদেহে শর্করা সরবরাহ করে। কচুতে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকায় বাজারে চাহিদা অনেক বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মো. মোশারফ হোসেন বলেন, মুখিকচু একটি লাভজনক ফসল। যা অল্প খরচে দ্বিগুণ লাভ করা সম্ভব। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ৭টি ইউনিয়নে ৭জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিকে প্রদর্শনীর আওতায় আনা হয়েছে। ৭টি প্রদর্শনীর জন্য ২০ শতক করে জমিতে এ সকল কৃষককে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে।

এছাড়া ফলন ও দাম ভালো থাকায় দিন দিন মুখিকচুর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুখিকচু চাষিদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই ও পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content