প্রতিনিধি ৯ জুন ২০২৪ , ৬:২১:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম নগরীর স্টেডিয়াম এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা চরম হয়রানির মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ স্টেডিয়ামের আওতাধীন এই এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এসব হয়রানি নিয়ে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেনা বলে দাবি ভুক্তভোগী গ্রাহকদের।
বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফের ইচ্ছা অনিচ্ছাতেই যেন চলছে এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিষেবা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফের নির্দেশ ছাড়া লাইনের শাটডাউন করা যায় না। তাই তার অধীনে থাকা কর্মচারীরা অনুমতি ছাড়া দিনে হোক আর রাতে হোক লাইনে কাজ করতে চান না।
এদিকে সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ ফোন ধরেন খুব কম। কোন গ্রাহকের লাইনে সমস্যা নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরও কেবল সহকারী প্রকৌশলীর অনুমতি না মেলায় অনেক সময় লাইনম্যানরা কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি নগরীর বাদশা মিয়া রোড়ের বাসিন্দা মো. মহিতুল আলম কানন বলেন, কয়েক দিন আগে প্রচণ্ড গরমের সময় হঠাৎ রাতে আমার বাসায় বিদ্যুৎ চলে যায়।
আমি যথারীতি বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিই। বিদ্যুৎ অফিস থেকে লাইনম্যানরা আমার বাসায় আসে এবং চেক করে বলে লাইন শাটডাউন দিতে হবে বলে জানান। লাইন শাটডাউন দিতে বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষের স্টেডিয়াম ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফের অনুমতি লাগবে বলেও তারা জানান।
লাইন শাটডাউন দিতে অনুমতির জন্য লাইনম্যানরা সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফকে বারবার ফোন করেও কোনো সাড়া পায়নি। এভাবে সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফের অনুমতি না পাওয়ায় আমার বাসায় বিদ্যুৎ মেরামত করা যায়নি, পরিবার নিয়ে সারারাত কষ্ট করতে হয়েছে।
এভাবে গোল পাহাড় এলাকার আরিফ, পাঁচলাইশের মো. ইব্রাহিম, দামপাড়া ১নং গলির মো. শহীদুল নামের কয়েকজন গ্রাহকের বাসায়ও একই সমস্যা ছিল বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম নগরীর বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষের খুলশী অভিযোগ কেন্দ্রের লাইনম্যান সুমন দাস বলেন, স্যারেরা দিনে অফিস করেন, রাতে অনেক সময় ফোনে পাওয়া যায় না, তাই একটু সমস্যা হয়।
বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষের স্টেডিয়াম ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ অনুমতি ছাড়া শাটডাউনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, লাইন শাটডাউন করতে নির্বাহী প্রকেীশলীর অনুমতি লাগে। ফোন না ধরার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।