রংপুর

দিনাজপুরের পশুর হাট-বাজার জমে উঠেছে

  প্রতিনিধি ১২ জুন ২০২৪ , ৫:৪৭:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

দিনাজপুরের পশুর হাট বাজার জমে উঠেছে

পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। দিনাজপুরের বিভিন্ন হাট বাজারে গরু ছাগলের প্রচুর আমদানি হচ্ছে। কোন কোনো হাটে ও মহিষও রয়েছে। পশুরহাট জমে উঠার সাথে সাথেই বিক্রেতা-ক্রেতা দুটোই বাড়ছে। তবে ক্রেতা বলছে, গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি দাম, আর বিক্রেতা বলছে, দাম কম ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

দিনাজপুরের সর্ববৃহৎ হাট রেলবাজার, খোসালডাঙ্গী, সিকদার, চেরাডাঙ্গী, বিরল, কাহারোল, বোচাগঞ্জ, পাঁচবাড়ীসহ বিভিন্ন হাটে কাক ডাকা ভোর হতে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ক্রয় বিক্রয় শুরু হচ্ছে। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী , টাঙ্গাইল নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারিরা আসছে গরু ক্রয় করতে।

টাঙ্গাইল থেকে আসে পাইকারি ব্যবসায়ী হানিফ আলী জানান, ঢাকা টাঙ্গাইল ময়নসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় বড় বড় খামার হওয়ার কারণে বড় গরুর চাহিদা নেই। তবে ছোট গরুব চাহিদা। তাই ছোট গরুর দামও অনেক বেশি।ঢাকা থেকে আসা ব্যবসায়ী আলী হোসেন জানান, ছোট গরুহদার কারণে ব্যবসায়ীরা আকাশচুম্বী দাম চাচ্ছে। তবে ক্রেতারা বলছেন প্রচুর গরুও ছাগলের আমদানি রয়েছে। নিয়ন্ত্রণ না থাকায় যার যা ইচ্ছা তাই দাম চাচ্ছে।

এছাড়া গরুর উচ্চমূল্য সাথে সাথে ইজাদাররা গরু ও ছাগলের লিখনি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ও তিন ডাবল করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে কেউ দেখছে না। দালালরা গরুর বাজার কে নিয়ন্ত্রণ করছে। দালালের কারণে ক্রেতা ঠকছে।দিনাজপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আশিকা আকবর তৃষা বলেন, চাহিদার চেয়েও ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪শ’৫৪ গরু ছাগল মহিষ ও ভেড়া উদ্বৃত্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ১১৮টি গরু, ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৪শ’১৩টি ছাগল, ১৩ হাজার ৯শ’২৯ টি ভেড়া ও ৫শ’৭০টি মহিষ রয়েছে। চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত অনেক বেশি। বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে দালালদের নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল, পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও ভিকেল অফিসের চেয়েও হাট বাজারগুলোতে দালালদের সংখ্যা অধিকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদের অত্যাচারে ক্রেতা বিক্রেতা উভয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাটবাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষদের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে অভিজ্ঞ মহল অভিমত পোষণ করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content