চট্টগ্রাম

দেবীদ্বারে পুকুরে বিষ দিয়ে ২৫ লক্ষ টাকার মাছ নিধন

  মো. শাহজালাল ১২ জুন ২০২৪ , ৮:০৭:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

দেবীদ্বারে পুকুরে বিষ দিয়ে ২৫ লক্ষ টাকার মাছ নিধন

মৎস্য খামারের বাঁধের উপর নেশার আড্ডায় বাঁধা দেয়ায় বিষ দিয়ে ২৫ লক্ষ টাকার মাছ মেরে নিঃস্ব করল খামারিকে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১২ জুন) ভোর ৫টায় দেবীদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ‘গোপালনগর গ্যাস ফিল্ড’ সংলগ্ন মফিজ উদ্দিন সজলের মৎস্য খামারে।

ভুক্তভোগী মৎস্য খামারি মো. মফিজ উদ্দিন সজল (৪০) গোপালনগর গ্রামের মো. হাবিবুল্লাহ মূন্সীর পুত্র। মফিজ উদ্দিন জানান, প্রায় ৪ বছর ধরে ২.৪০ একরের একটি পুকুরে মাছ চাষ করে আসছি। এরই মধ্যে একাধিকবার আমার মৎস্য খামারে অজ্ঞাতরা বিষ ঢেলে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে।

ওই ঘটনায় থানায় সাধার ডায়েরি করেও কোন প্রতিকার পাইনি। সম্প্রতি গ্যাসফিল্ড ও মৎস্য খামারের পাশে একটি গভীর নলকূপের মর্টারের ঘর আছে, সেখানে এবং আমার মৎস খামারের বাঁধের উপর প্রতিনিয়ত একদল নেশাখোর নেশার আড্ডা বসায়। আমি তাদের বাঁধা দিলে আমার মাছের খামার ধ্বংস করার হুমকি দেয়।

ওই হুমকির পর থেকে বিষয়টি স্থানীয়দের জানিয়েও কোন সমাধান পাইনি। আমি রাত জেগে মৎস্য খামার রক্ষা এবং নেশাখোরদের পাহারা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। গতরাতে ঘুমিয়েছিলাম, সকালে আমার স্ত্রী খাদিজা আক্তার খামারে গিয়ে দেখেন সারা পুকুরে মরা মাছ ভেসে উঠছে, আর এলাকার লোকজন বস্তায় বস্তায় মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দেখে যান। এসময় গোপালনগর গ্যাস ফিল্ডের সুমন মূন্সী (৩৫) নামে একজন নিরাপত্তাকর্মীর পোষাক পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিত্যক্ত অবস্থায় খুঁজে পান। ওই ঘটনায় আমার খামারের প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন জাতের মাছের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি। অভিযুক্ত সুমন মূন্সী (৩৫) গোপালনগর গ্যাস ফিল্ডের নিরাপত্তা কর্মী এবং একই গ্রামের ডা. নজরুল ইসরামের পুত্র।

এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নয়ন মিয়া জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গ্যাস ফিল্ডের একজন নিরাপত্তা প্রহরীর নেতৃত্বে ৬/৭ জন মো. মফিজ উদ্দিন সজল নামে এক মৎস্য খামারির খামারে বিষ ঢেলে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মাছ নিধনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেব।

আরও খবর

Sponsered content