প্রতিনিধি ৩০ জুন ২০২৪ , ৬:১৪:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামে বৃষ্টির পানিতে সড়ক তলিয়ে থাকায় সৃষ্ট যানজট তথা দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে শুরু হলো চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (্এইচ এস সি) পরীক্ষা।
রোববার প্রথম দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া লাখ লাখ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরাও পড়েছেন সন্তানদের নিয়ে বিড়ম্বনায়। প্রথমদিনে অনেকেই কেন্দ্রের কাছে আসার আগে পড়েছেন বৃষ্টির কবলে। কেউ ব্যক্তিগত যানবাহনে আসলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাস, সিএনজি কিংবা রিকশায় করে কেন্দ্রে এসেছেন। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে গাড়ি থেকে নামতে ভিজে গেছেন অনেকে। সকালের দিকে কেন্দ্রের আশপাশের মার্কেট, দোকানপাট না খোলায় বৃষ্টির হাত থেকে অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। ফলে পরীক্ষার হলে ঢুকতে গিয়ে কোথাও শিক্ষার্থীরা, কোথাও আবার সঙ্গে আসা লোকজন ভিজে একাকার হয়ে গেছেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন এক লাখ ছয় হাজার ৩৪ জন শিক্ষার্থী। গত বছর ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ ২ হাজার ৪৬৮ জন। হিসাবে গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। এবার ২৮৭টি কলেজ থেকে ১১৫টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এএমএম মুজিবুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ২৩ হাজার ৫৩২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১১ হাজার ৪২৬ জন এবং ছাত্রী ১২ হাজার ১০৬ জন। মানবিক বিভাগে ৪৬ হাজার ২৭৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৮ হাজার ৩১৭ জন এবং ছাত্রী ২৭ হাজার তিন জন। ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ৩৬ হাজার ২২৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৮ হাজার ৫৮৯ জন এবং ছাত্রী ১৭ হাজার ৬৩৬ জন এবং গার্হস্থ্য বিভাগ থেকে চার জন ছাত্রী এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।’
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এই শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার চট্টগ্রামে ৬৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৬ হাজার ১৭৯ জন। কক্সবাজারে ১৮টি কেন্দ্রে সাত হাজার ৮৮৯ জন। রাঙামাটিতে ১০টি কেন্দ্রে তিন হাজার একজন। খাগড়াছড়িতে ১০টি কেন্দ্রে তিন হাজার ৫৬১ জন এবং বান্দরবানে আট কেন্দ্রে দুই হাজার ৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুজিবুর রহমান বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে তদারকির জন্য ২৮টি সাধারণ ভিজিল্যান্স টিম ও ১০টি বিশেষ ভিজিল্যান্স টিম কাজ করছে।
এদিকে তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে (ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা) চট্টগ্রামে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এতে সাধারণ অফিসগামী মানুষের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো নিয়েও শঙ্কায় পড়েছেন অভিভাবকরা।
এমনকি বৃষ্টির ভোগান্তি মাথায় নিয়েই কেন্দ্রে ঢুকছেন পরীক্ষার্থীরা। আবার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার আধাঘণ্টা পরেও নগরের কয়েকটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা পৌঁছেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে পৌঁছানোর বাধ্যবাধকতা থাকায় অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উৎকন্ঠা উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে।