প্রতিনিধি ৩ জুলাই ২০২৪ , ৩:৩৯:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
অল্প বৃষ্টি কিংবা লাগাতার বৃষ্টি যাই হোক না কেন, চট্টগ্রাম নগরবাসীর জীবন থেকে জলদুর্ভোগ যেনো সরতেই নারাজ। বৃষ্টি ছাড়াও জোয়ারেও বাড়ায় কপালের দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ। গত কয়েকদিনের বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরী যেনো তলিয়ে আছে পানির নিচে। বেড়েছে জনদূর্ভোগ। এরমধ্যে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও রয়েছেন চরম বেকায়দায়। হাটু কিংবা কোমরসম পানি মাড়িয়ে পরীক্ষার্থী তথা অভিভাবকদের যেতে হচ্ছে কেন্দ্রে।
বর্ষা মৌসুম ও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রামেও গত চারদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর নিচু এলাকা, বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন সড়কে পানি জমে আছে। এতে কিছু কিছু সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা, সড়কে যানজট, ঘরে পানি এসবের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাসা-বাড়ির বাসিন্দারাসহ কর্মজীবী মানুষ, পথচারী এবং স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়, চকবাজার, দুই নম্বর গেটসহ নগরীর কিছু প্রধান সড়কে পানি জমতে দেখা যায়। এসময় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বৃষ্টি থামার কিছু সময়ের মধ্যে সড়ক থেকে পানি নেমে যায়। কিন্তু কাপাসগোলা, চকবাজার, বহদ্দারহাট, বাকলিয়ার বিভিন্ন এলাকাসহ নিচু এলাকাগুলোর অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে এখনো পানি জমে আছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে নগরীতে। আজও বৃষ্টির আভাস রয়েছে। বৃষ্টির পানির সাথে জোয়ারের পানি মিলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে দু’দিন পর কমে আসতে পারে বৃষ্টি।
আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার বাসিন্দা আইরিন সুলতানা বলেন, বৃষ্টি ছাড়াও সারাবছর জোয়ারের পানি আমাদের ভোগান্তি দেয়। তার সাথে যুক্ত হয়েছে এখন লাগাতার বৃষ্টি। নালা পরিষ্কার না হওয়ায় এমন অল্প বৃষ্টিতেও পানি সরছে না। বাচ্চাদের স্কুল কলেজে যাওয়া আসায় পোহাতে হচ্ছে চরম অশান্তি। আমাদের এ থেকে যেনো মুক্তি নেই।
হালিশহরের বাসিন্দা লেখক ও কলামিষ্ট শফিক চৌধুরী বলেন, আমরা চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দারা যেনো উচ্ছৃষ্টভোগী নাগরিক। আমাদের সুখ-দুঃখ দেখার দরকার নাই। একেতো সড়কে পানি, তারওপর খানাখন্দ। চলাচল দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর সেবা সংস্থাগুলোর উদাসীনতা আর খামখেয়ালীপনায় দূর্ভোগ না কমে বেড়েই চলেছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের আন্তরিকতার বিকল্প নেই।