বাংলাদেশ

আ.লীগের নেতাকর্মীদের পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৭ জুলাই ২০২৪ , ৬:২৫:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

আ.লীগের নেতাকর্মীদের পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়টি ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এই স্কিমে যুক্ত হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।  

রবিবার (৭ জুলাই) গণভবনে যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। শনিবার (৬ জুলাই) যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাত করেন আজ।

সবার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম দেওয়ার হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল (২০০৮ সালের নির্বাচনে)। শুধু সরকারি চাকরিজীবীরা পেনশন পায়, বাকিরা বঞ্চিত থাকে। কেউ যাতে বঞ্চিত না থাকে সেই জন্য বিভিন্ন স্তরভেদে সর্বজনীন পেনশনের ব্যবস্থা করা আছে।

যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যুব মহিলা লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারে নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য। যখন বয়স হয়ে যাবে, কর্মক্ষম থাকবে না, তখন একটা নিশ্চিত অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ আছে। জীবন-জীবিকা চালাবার সুযোগ আছে। যারা একেবারে নিম্নআয়ের তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। যারা কিছুই করতে পারে না, খুব অল্প টাকা কামাই করে, তারা যদি ৫০০ টাকা রাখে তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে আরও ৫০০ টাকা দিয়ে তারাও যেন ভালোভাবে পেনশন পায় এবং আজীবন পাবে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি আমাদের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ঢোকা দরকার। তাহলে অন্তত জীবনের একটা নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। বৃদ্ধ বয়সে কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। ছেলের ঘাড়ে বোঝা হবে না, মেয়ের ঘাড়েও বোঝা হবে না, নিজেরটা নিজে করে খেতে পারবে, সেই ব্যবস্থাটা করা।

যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইট তৈরির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সব জায়গায় সংগঠনের একটা ডাটাবেজ থাকবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের যথাযথ ব্যবহারের জন্য যুব মহিলা লীগ যে যাত্রা শুরু করল সেটা সফল হোক আমরা চাই।

এ সময় বিএনপির আমলে যুব মহিলা লীগের ওপর যে নির্যাতন হয়েছিল তা মানুষের সামনে তুলে ধরার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ওদের বীভৎস চেহারাটা, জঙ্গি চেহারা, সন্ত্রাসী চেহারা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। এরা কোনও মানুষের জাত না। এরা দেশকেও ভালোবাসে না, মানুষকেও ভালোবাসে না। মানুষের উন্নতি চায় না।

শেখ হাসিনা বলেন, অর্থ সম্পদ লুট করে, টাকা পয়সা বানিয়ে, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি, টাকা পাচার, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারীরা হচ্ছে বিএনপির নেতা। এই নেতা দিয়ে দেশ কীভাবে তারা এগিয়ে নিয়ে যাবে জানি না। এরা সমাজের বোঝা ও অভিশপ্ত। সমাজের কাছে সন্ত্রাসী ছাড়া কিছুই বলা যায় না। তাদের অত্যাচার ও নির্যাতন যাতে করার সুযোগ না পায় সেই জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এ সময় যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সরোয়ার ডেইজী, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলিসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content