বাংলাদেশ

দেশে থ্যালাসেমিয়া বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ

  প্রতিনিধি ৭ জুলাই ২০২৪ , ৭:৫৫:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares
দেশে থ্যালাসেমিয়া বাহক ১১ দশমিক ৪ শতাংশ

দেশে জাতীয়ভাবে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাহকের সংখ্যা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং পুরুষের সংখ্যা ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। ১৪ থেকে ৩৫ বছর বয়সি বিবাহিত ও অবিবাহিত জনগোষ্ঠির মধ্যে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। 

৮ হাজার ৬৮০ জনের ওপর জরিপটি করা হয়েছে। রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর ন্যাশনাল থ্যালাসেমিয়া সার্ভে ২০২৪শের প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। 

প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা লিজেন শাহ নঈম। বক্তব্য রাখেন বিবিএসের উপমহাপরিচালক ওবায়দুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থ্যালাসেমিয়া বাহকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রংপুরে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে আছে রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রামে ১১ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। খুলনা ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ঢাকা ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। বরিশাল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। সিলেটে সব চেয়ে কম ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হযেছে, দেশে হ্যাপাটাইটিস বি আক্রান্তের সংখ্যা এক দশমিক ২ শতাংশ এবং হ্যাপাটাইটিস সি আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য দশমিক শূণ্য ৫ শতাংশ। 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান বলেন, বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে বিয়ে করা দরকার। তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্মে এ রোগ কমে যাবে।  এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একটি সার্ভে করেছে। ছোট দিয়ে আমরা বড় সার্ভে করতে পারবো। কষ্ট নিবারণ করতে পারি না। আমাদের কাছে সাহায্যে চাই ৫ হাজার ৭ হাজার টাকা সহায্যে করি। এর চাইতে বেশি করতে পারি না।  

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যস্থাপনা বিভাগের সচিব বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগ নিমূল করা সম্ভব। যদি বাহক টু বাহক বিবাহ বন্ধ করা যায়। এজন্য একটা নীতিমালা থাকা দরকার। 

স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। আমরা সরকারি বেসরকারি জেলা পর্যায়ে সব জায়গাতেই সচেতন থাকার চেষ্টা করি। এছাড়া সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ রোগের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেন।

0Shares

আরও খবর

Sponsered content