চট্টগ্রামে পুলিশী বাধায় পণ্ড কোটা আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানের চেরাগী মোড়ে বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী পুলিশী বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এসময় পুলিশ বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করেছে বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জামালখান প্রেস ক্লাব ও চেরাগি মোড় এলাকায় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার প্রাক্কালে কয়েক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক শিক্ষার্থীরা হলেন বেসরকারি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমন, বাকলিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথমবর্ষের ছাত্র আজমাঈন করিম নিহাল, গাছবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী জুলহাজ হোসেন এবং চট্টগ্রাম আইন কলেজের শিক্ষার্থী মো. নজরুল।

জানা গেছে, সোমবার বেলা ৩টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রেস ক্লাবের সামনে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে আসার আগেই সেখানে সতর্ক অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সমাবেশস্থলে আসতে না পেরে চেরাগি মোড়ে খন্ড খন্ডভাবে এসে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এর কিছুক্ষণ পরেই চেরাগি মোড়ের অন্যপাশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরাও অবস্থান নেন।

এ সময় আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি-তর্কাতর্কি হয়। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। তারা কদম মোবারম শাহী জামে মসজিদের সামনে বিকেল ৪টার পর সড়ক অবরোধ করে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন। আটক শিক্ষার্থীদের ছাড়াতে আন্দোলনকারীরা পুলিশের প্রিজনভ্যান আটকানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়ে ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে এলাকা ছাড়ে।

পরবর্তীতে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছত্রভঙ্গের পর বিক্ষোভ সমাবেশের ‘সমাপ্তি’ ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিকেল সাড়ে চারটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘চট্টগ্রামে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ছে। বোনদের ওপর পুলিশি হামলা করা হয়েছে।

আমরা কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করছি। আন্দোলনকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি লিখেন, ‘পরবর্তী আপডেট জানানো হবে।