প্রতিনিধি ১২ আগস্ট ২০২৪ , ৩:৩৫:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু নথি নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে সেগুলো আটকে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুই আইনজীবী।
আসামিপক্ষের (ডিফেন্স কাউন্সেল) এই দুই আইনজীবী হলেন— গাজী এম এইচ তামিম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। সোমবার (১২ আগস্ট) তারা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম জানান, আমরা আজকে সকালে খবর পেলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু ডকুমেন্টস কিছু লোক নিয়ে যাচ্ছে। আমি এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অফিস এবং প্রসিকিউশন অফিসে গেলাম। সেখানে জানতে পারলাম— এ রকম কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের থামালাম এবং ডকুমেন্টগুলো যার যার রুমে পাঠিয়ে যিনি অফিসের দায়িত্বে আছেন (আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা) তার কাছে চাবি রেখে এসেছি। বলেছি এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সরকারের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে কোনও নথি বের হবে না বা ঢুকবে না।
আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম জানান, আমরা আজকে সকালে খবর পেলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু ডকুমেন্টস কিছু লোক নিয়ে যাচ্ছে। আমি এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অফিস এবং প্রসিকিউশন অফিসে গেলাম। সেখানে জানতে পারলাম— এ রকম কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের থামালাম এবং ডকুমেন্টগুলো যার যার রুমে পাঠিয়ে যিনি অফিসের দায়িত্বে আছেন (আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা) তার কাছে চাবি রেখে এসেছি। বলেছি এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সরকারের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে কোনও নথি বের হবে না বা ঢুকবে না।
আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার অফিসের নথিও সংরক্ষণ করতে হবে। কোনও কর্মকর্তা যেন না নিয়ে যান। এটা সরকারের কাছে আমাদের দাবি।
তবে প্রসিকিউশনের কর্মকর্তারা জানান, তারা এগুলো তালা দিয়ে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১) চলছে বিচারকাজ।