বাংলাদেশ

‘বৈষম্য নিরসনে নতুন করে সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে’

  প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:৫৭:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

‘বৈষম্য নিরসনে নতুন করে সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে’
ছবি: সংগৃহীত

‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবে গঠিত সরকারকে অবশ্যই রাষ্ট্র সংস্কারে মনোনিবেশ করতে হবে। দেশের সব বৈষম্য রোধকল্পে নতুন করে সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। ওই সংবিধানে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা এবং নাগরিক সমতা নিশ্চয়তার বিধান করতে হবে।’

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ন্যায়ভিত্তিক-নেতৃত্বশীল রাষ্ট্রের রূপরেখা: সংস্কার নাকি নতুন সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। 

সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্স (বিপিডি)। এতে বক্তব্য দেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক সহকারী পরিচালক জিয়াউল হক শামীম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ, ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষক কামরুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তুহিন খান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুব আহমেদ জাকারিয়া, মেজর (বরখাস্ত) মোহসিনুল করীম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব মোস্তফা তারেক, গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান প্রমুখ।

গোলটেবিল বৈঠকে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘ক্ষমতার জোক স্বৈরাচার তৈরি হতে বাধ্য। সংসদে একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম হয়েছে। রাষ্ট্র কোনো প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে না পারলে ওই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। গত ১৫ বছরে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সমস্ত পৃথিবীর ইন্টেলেকচ্যুয়াল জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর যেন কোনো বিপ্লবের মূল চেতনা চুরি হয়ে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সংবিধানকে সংস্কার করতে হবে।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, ‘জাতিকে মুক্ত করতে হলে নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে। বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ধারণ করে নতুন সংবিধান লিখতে হবে। যে সংবিধানে সব বৈষম্য কমিয়ে এনে সত্যিকারে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সহায়ক হতে পারে।’

গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। এখানে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সংবিধান সংস্কার বা পরিবর্তন করা যেতে পারে। বাংলাদেশে এখনো স্বৈরাচারের দোসর প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। তাই পরিবারতন্ত্র ও শ্রেণি-গোষ্ঠীকে প্রমোট করার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে গণমুখী সংবিধান গড়ে তুলতে হবে।’

‘দ্বিতীয় স্বাধীনতায়’ যারা আহত ও নিহত হয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তারা।

এ ছাড়া অনেকে নতুন সংবিধান গড়ার পরিবর্তে কুরআনকে সংবিধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আরও খবর

Sponsered content