প্রতিনিধি ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:০২:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে স্কুল মেরামতের দুই লক্ষ টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী জীবন কৃষ্ণ রায়ের বিরদ্ধে। স্কুল মেরামতের জন্য স্লিপের টাকা আত্নসাতের অভিযোগের দায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য ও অভিভাবকবৃন্দ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ রায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের স্কুল মেরামত সহ অন্যান্য বাবদ স্লিপের দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেলে তা বিদ্যালয়ের কোন কাজ না করে সভাপতি সহ যোগসাজশে তা আত্নসাত করেন। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা স্লিপের টাকার হিসাব জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন ধরনের বল প্রয়োগ করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। এছাড়া ওই প্রধান শিক্ষক প্রতিদিন বিদ্যালয়ে দেড়িতে আসেন আবার তারাতাড়ি করে বিদ্যালয় ত্যাগ করে চলে যান। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকেরা মন্তব্য করলে তদের প্রতি রাগান্বিত হন।
স্কুলের স্লিপের টাকা আত্নসাতের পাশাপাশি সভাপতিকে হাতের কব্জায় রাখতে স্লিপের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ে কাজ করা রঙের মিস্ত্রি দিয়ে সভাপতির বাড়িতে থাকা বিল্ডিং এর রঙ করিয়ে দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ রায়। তাছাড়া বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিদ্যালয়ে ব্যবহার না করে প্রধান শিক্ষক তার বাড়িতে ব্যবহার করার কথা লেখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল লিখিত অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক না। বিদ্যালয় মেরামতের জন্য স্লিপের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের কাজ করা হয়েছে। টাকা আত্নসাতের অভিযোগ মিথ্য ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।
সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমার বাড়ির ঘরের দেয়ালের বাহিরের রঙ ওই বিদ্যালয়ের রঙ করা মিস্ত্রী দিয়ে রঙ করে নিয়েছি। মিস্ত্রীর খরচের টাকা আমি দিয়েছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নার্গিস ফাতিমা তোকদার প্রধান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তিন সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউর রহমান জানান, উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ অফিসে দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।