দেশজুড়ে

রামগতিতে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৬:০৫:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

রামগতিতে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পৌর কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম খন্দকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেছেন তিনি। একই পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির অপর যুগ্ম আহ্বায়ক অপরুপ দাসের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পলায়নরত একটি মহল এ প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। অপরুপ মানবজমিন পত্রিকার ওই উপজেলা প্রতিনিধি। এ পত্রিকাতে একপেশে সংবাদ প্রকাশ করে অপপ্রচার চালানোর আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে বলে ক্ষতিগ্রস্তের অভিযোগ।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে রামগিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদসভা ও সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলে ধরেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পৌর কাউন্সিলর ও দলটির নেতাকর্মীরা। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দলটির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে পৌর কাউন্সিলর হিসেবে জনসেবা করে আসছি। রাজনীতি করতে গিয়ে বার বার জেল জুলুমের শিকার হয়েছি। সাংবাদিকতার সাইনবোর্ডে অপরুপ দাস বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত হলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি এসব না করার জন্য বারণ করি। এ কারণে তিনি ব্যক্তি আক্রোশে সম্প্রতি মানবজমিনে আমার বিরুদ্ধে একটি একপেশে ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেন। আমার কোনো বক্তব্য না নিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনের বক্তব্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

অথচ অপরুপ তাঁর বড় ভাই প্রবল চন্দ্র দাসের সাথে ছলনা করে ওয়ারিশি সম্পত্তি আত্মসাত ও জবরদখলের কারণে অসুস্থ হয়ে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। পরবর্তীতে তার সন্তানদেরকেও সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেন। তার দোকানের কর্মচারী রবিন চন্দ্র দাস  অপরুপ দাসের থেকে ৮শতক ভূমি ক্রয় করে। কিন্তু তিনি সমুদয় টাকা নিয়ে দলিল দিতে অস্বীকার করেন। এর কারণে বিজ্ঞ আদালতে মামলা হয় এবং সত্য প্রমাণিত হওয়ায় খাটেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করছেন।

দিদার খান্দকার আরো বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা বাস-মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলাম। যুবলীগের যুগ্ম- আহবায়ক সোয়াইব খন্দকার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে হিমাচল বাস কাউন্টার দখল করেন। আমি অদ্যাবধি পর্যন্ত হিমাচল কাউন্টারে যাইনা। আরেক জন মো. রাজিব, যিনি আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহিদের ছোট ভাই। আমার ছেলে তার কাছে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি হাস্যকর। ড্রেন সংস্কারের মাটি বিক্রয় একান্তই ঠিকাদারের বিষয়।

এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। মুলত আমাকে সামাজিক ও রাজনীতিক ভাবে হেও করাই তার মূল উদ্দেশ্য। তাই আমি ও আমার দলের ভাবমুত্তি নষ্ট করার এহেন মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রচার করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে মানবজমিন পত্রিকার প্রতি আহবান বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন এ প্রত্যাশা করি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, রামগতি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজ উদ্দিন, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ও পৌর কাউন্সিলর মুর্তুজা আল আমিন, বিএনপি নেতা মো. বাবর, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জমির আলী, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল করিম মাষ্টার, যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান কবির, আব্বাস উদ্দিন এ্যানি, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইরাজ মোহাম্মদ বাবু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ শিব্বির প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content