প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২৪ , ৬:৩৬:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট পৌর বাজারে সড়ক ও জনপথের ২১ শতক জমি অবৈধ দখল করে স্থায়ী পাকা দোকানঘর নির্মাণ করছে একটি অসাধু চক্র। অবৈধ দখলে নেয়া জমির মুল্য আনুমানিক ৪ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রতি ৩ কিলোমিটার পর পর একটি পকেট ল্যান্ড রিজার্ভ রাখে যা সড়ক উন্নয়ন কালিন উন্নয়ন সামগ্রী রাখার কাজে ব্যবহার হয়।
তেমনি বারৈয়ারহাট পৌর বাজারের ফুট ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশে কয়েক একর জমি সংরক্ষিত রাখে সওজ। কিন্তু কালের বিবর্তনে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও টাকার দাপটে অসাধু সওজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দিনের পর দিন অতি প্রয়োজনীয় মূল্যবান জমি গুলো দখল হতে থাকে ভুমিদস্যু ও প্রভাবশালী অসাধু রাজনৈতিক নেতাদের কাছে। দখল হতে হতে মাত্র ২১ শতক পকেট ল্যান্ড জমি অবশিষ্ট ছিল বারৈয়ারহাট পৌর বাজারে।
অবশিষ্ট ২১ শত মহামূল্যবান জমিতেও লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে স্থানীয় অলি আহম্মদের ছেলে আবুল কালাম মিয়াজীর। আবুল কালাম মিয়াজী সড়ক ও জনপথ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সরকারি জমি দখল করে প্রায় ১২ টি দোকান ঘর নির্মাণ করে কয়েক দশক ধরে ভাড়া উত্তোলন করে ভোগ করে আসছেন। গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা হ্রাস পাওয়ার সুযোগে বাকি ২১ শতক জমিতেও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন তিনি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২১ শতক জমির উপরে মাঝখানে গলি রেখে দুটি ফ্লটে প্রায় ২৪টি পাকা দালানের দোকান ঘর নির্মাণ করছেনকালাম মিয়াজী। সরকারি জায়গায় স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সীতাকুণ্ড সড়ক উপ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ দেয়া হয়েছে তাকে। নোটিশে আবুল কালাম মিয়াজীকে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে আবুল কালাম মিয়াজী এই প্রতিবেদককে বলেন, নোটিশ পাওয়ার পর নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছেন। স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সওজ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন বলেও জানান। তিনি আরও জানান, বারৈয়ারহাট পৌর বাজারে বেশিরভাগ সরকারী জমিতে দোকানঘর ও বহুল ভবন নির্মাণ করে বহু লোক দখল করে ভোগ করছে বছরের পর বছর। খালি পড়ে আছে তাই আমিও ভাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে দোকান নির্মান করার কাজে হত দিয়েছি। এখন সরকার যদি বাধা দেয় কাজ করবো না।
সীতাকুণ্ড সড়ক উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান জানান, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই অংশে শতশত একর জমি অবৈধ দখলে চলে গেছে। অনেকেই স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে কেউ বসবাস করছেন কেউ কেউ ভাড়া আদায় করছেন। সরকারি বেহাত হওয়া এসব সম্পত্তি আমরা তালিকা করে মন্ত্রনালয়ের পাঠানোর কাজ শুরু করেছি। অতি শীঘ্রই ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।