প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০২৪ , ৭:৫৪:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
দেশীয় প্রজাতির মাছ ধ্বংসকারী নিষিদ্ধ চায়না ও কারেন্ট জালে সয়লাব গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া। উপজেলার ঘাঘর, রামনগর, ধারাবাশাইল, রাধাগঞ্জ, ভাঙ্গারহাট, পিড়ারবাড়ী, রামশীল সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে গোপনে চলে এ জালের বেচাকেনা। তাছাড়াও গ্রামে-গঞ্জে নিভৃত পল্লীতেও চলে নিষিদ্ধ এ জাল কেনাবেচার রমরমা ব্যবসা।
কোথাও কোথাও জাল আটকের পর প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর না করে পুনরায় বিক্রির অভিযোগ রয়েছে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের বিরুদ্ধে। বান্ধাবাড়ী, রামশীল, সাদুল্লাপুর, রাধাগঞ্জ, হিরণ, কুশলা, পিঞ্জুরী, কান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে বিলে অহরহ পাতানো অবস্থায় দেখা যায় কারেন্ট ও চায়না জাল। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগীতায় মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু জাল জব্দ করে তা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করলেও আমদানির তুলনায় তা সামান্য।
ধ্বংসের পরে পুনরায় নতুন জাল সংগ্রহ করে পূর্বের কাজে ফেরে মৎস্যজীবীরা। এ যেনো ‘‘ইদুর-বিড়াল খেলা’’ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা। সাম্প্রতিক সময়ে বান্ধাবাড়ী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ হান্নান শেখ, শাহাদাৎ খন্দকার ও ইমন খন্দকার বিল থেকে চায়না জাল জব্দ করতে গিয়ে মধুর নাগরা গ্রামের মিজানুর রহমান, সোনাবান বেগম, আয়শা খানম, ছলেমান জিরুল্লা কর্তৃক হামলা ও মারপিটের শিকার হন।
এ ঘটনায় একটি মামলা ও দায়ের হয়েছে থানায়। সিতাইকুন্ডু, উত্তরপাড়, পিড়ারবাড়ী, রামনগর, কলাবাড়ী গ্রামের একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ আমদানী ও বিক্রি করে আসছে কারেন্ট ও চায়না জাল। এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে গনমাধ্যকর্মীদের অনুসন্ধানে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবাশীষ বাছাড় এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- কোটালীপাড়ায় আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, নিষিদ্ধ চায়না ও কারেন্ট জাল যতদুর সম্ভব নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করবো।